চিনের মুখে ‘রাম’-নাম! লাদাখ-দ্বন্দ্বের পরই ভারত নিয়ে উল্টো সুর চৈনিক রাষ্ট্রদূতের
এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম। চৈনিক রাষ্ট্রদূতের মুখে হঠাৎ মৈত্রীর কথা। শুক্রবার ইউটিউবে ১৮ মিনিটের একটি বার্তায় ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক।
এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম। চৈনিক রাষ্ট্রদূতের মুখে হঠাৎ মৈত্রীর কথা। শুক্রবার ইউটিউবে ১৮ মিনিটের একটি বার্তায় ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক, ঐতিহাসিক বন্ধন এবং ভারত-চিন অংশীদারিত্বের ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন। সু-সম্পর্ক স্থাপনের অবিরামের বাক্য-বর্ষণ করেছেন তিনি।
ওয়েডং বলেন, চিন-ভারত সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যমত্য হতে হবে এবং উভয় দেশের মধ্যে ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দিতে হবে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই দেশকেই নমনীয় হতে হবে। বিগত দু-মাসে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে যায়। তারপর ঘটে যায় সীমান্ত সংঘর্ষ।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনাসেনার আনাগোনা বাড়তে থাকে। বিগত ৫০ বছরের মধ্যে দুটি দেশই পরম শক্র হয়ে ময়দানে নামে একে অপরের বিরুদ্ধে। তাঁর বার্তায় রাষ্ট্রদূত ওয়েডং বলেছেন, "চিন ও ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার থেকে অংশীদার হওয়া উচিত। আমরা একে অপরকে হুমকি দেওয়ার পরিবর্তে উন্নয়নের সুযোগ সরবরাহ করি।
তাঁর কথায়, আমরা যদি একে অপরকে ইতিবাচক, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি, তাহলে নিশ্চিত করতে পারি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে এবং কৌশলগত ভুলগুলিকেও এড়িয়ে চলতে পারি। তাহলে গালওয়ান উপত্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সামনে এই রণসজ্জা দেখতে হত না।
উল্লেখয, গত দু-মাস ঘরে গালওয়ান উপত্যকায় যুদ্ধং দেহি মেজাজ ছিল চরমমে। সম্প্রতি চিনের চোখে চোখ রেখে ভারত সাহসী উত্তর দেয়। তারপরই পিছু হটতে শুরু করে চিন। ইতিমধ্যে দু-দেশের সেনা সংঘর্ষে ভারতের ২০ জনের মৃত্যু হয়। চিনের ৪৫ জন হতাহত হয়েছেন বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর।