বর্ধমানে ধানক্ষেতে উদ্ধার শিশু, মালদহে ভ্যাটে শিশুর দেহ
বর্ধমানের মেমারিতে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হল ১৬ দিনের শিশু। মালদহের ফিরোজপুরের ভ্যাট থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ। প্রতিদিনই রাজ্যের একটা না একটা জায়গা থেকে শিশু উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে।
বর্ধমান, ১ ডিসেম্বর : বর্ধমানের মেমারিতে ধানক্ষেতে উদ্ধার হল ১৬ দিনের শিশু। মালদহের ফিরোজপুরের ভ্যাট থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ। প্রতিদিনই রাজ্যের একটা না একটা জায়গা থেকে শিশু উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। ক্রমেই শিশু পাচার ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে রাজ্যে। দু'টি ঘটনাতেই পাচার চক্রের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রশাসনের ভয়েই ওই শিশুদের ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে অনুমান।
বর্ধমানের মেমারিতে মাঠে চাষের কাজ করতে যাওয়ার সময় এক কৃষক শিশুর কান্না শুনতে পান। তখনই লক্ষ্য পড়ে জমির আলের উপর শোয়ানো রয়েছে একটি শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তারকে কোলে তুলে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। একবার ভেবেছিলেন শিশুটিকে বাড়িতেই রেখে দেবেন। তারপর ভাবেন রাজ্যে শিশু পাচার নিয়ে যে কাণ্ডকারখানা ঘটে চলেছে, তাতে প্রশাসনকে জানানোই শ্রেয়।
সেইমতো গ্রামের মানুষকে বিষয়টি জানিয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন ওই কৃষক। গ্রাম পঞ্চায়েত পুলিশকে বিষটি জানানোর পর শিশুটিকে উদ্ধার করে মেমারির চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হোমে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা ওই শিশুটিকে ফেলে গেল তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ মনে করছে চারিদিকে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে শিশুগুলিকে ফেলে যাওয়া হচ্ছে।
এদিনই মালদহের ফিরোজপুরের ভ্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক সদ্যোজাত। তদন্তকারীদের ধারণা, পাচারের সময় শিশুর মৃত্যু হওয়ায় ভ্যাটে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কারা এই কাজ করেছে।
রাজ্যে শিশু পাচারের র্যাকেট সামনে আসায় নার্সিংহোম ও অন্যান্য সংস্থাগুলিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। নিজেদের বাঁচাতে তাই শিশুদের ফেলে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। উল্লেখ্য একদিন আগে ডায়মন্ড হারবারের তেঁতুলিয়ায় একই সঙ্গে তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয় একটি পুকুর পাড় থেকে।