একই হৃদয়ে দুটি শরীর, শতচেষ্টাতেও প্রাণ বাঁচল না এনআরএসে
একই হৃদয়ে দুটি শরীর, শতচেষ্টাতেও প্রাণ বাঁচল না এসএসকেএমে
অনেক চেষ্টা করেও এক হৃদয়ের দুই শিশুকে বাঁচাতে পারেননি এনআরএসের চিকিৎসকেরা। মা ভালই রয়েছেন। হতো শিশু দুটি বাঁচলে এক অন্যতম নজির গড়ত এনআরএস। তবে স্বাভাবিক ভাবে শিশুদুটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া এনআরএস হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার বাগুইআটির বাসিন্দা বছর ২৩-এর অনিমা ঘোষের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। দেখা যায় যমজ বাচ্চাদের একটিই হৃদযন্ত্র। কিন্তু মাথা, হাত, পা- সবই দুটি। একটি হৃদযন্ত্র কিন্তু দুটি সম্পূর্ণ শরীর নিয়ে জন্মানো এই বিরল যমজ সদ্যোজাত নতুন এক চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সেখানকার প্রসূতি ও শিশু বিভাগের একদল চিকিৎসককে।
শিশুদুটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হঠাৎই অবস্থার পরিবর্তন হয়। চিকিৎসকেরা শেষরক্ষা করতে পারেননি।
চিকিৎসকেরা জানান, দুই শিশুর মস্তিষ্ক, হাত, পা, চোখ, নাক, মুখ এককথায় দুটো পূর্ণ শরীর। সবই আলাদা ছিল। শুধু দুই শিশুর হৃদযন্ত্র ছিল একটা। দুজনের বুক জোড়া লেগে আছে ওই হৃদযন্ত্র নিয়ে। যমজ দুজনের মস্তিষ্ক আলাদা, শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা। কিন্তু জোড়া লেগে থাকা হৃদযন্ত্র থেকে দুটি শরীরে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। একেবারে 'অভিন্নহৃদয়' যাকে বলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় থোরাকোফ্যাগাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
দু'দিন ধরে নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার বসিরহাটের ভেরি থেকে