শিশু পাচারকাণ্ডে ফলতায় হদিশ সেফ হাউসের, গ্রেফতার ২
শিশুপাচারকাণ্ডে খোঁজ মিলল ‘সেফ হাউস’-এর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় মিলল এই সেফ হাউস। ফলতার রামনগরের জীবনদীপ নার্সিংহোমই কাজ করত শিশু পাচারের সেফ হাউস রূপে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৪ মার্চ : শিশুপাচারকাণ্ডে খোঁজ মিলল 'সেফ হাউস'-এর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় মিলল এই সেফ হাউস। ফলতার রামনগরের জীবনদীপ নার্সিংহোমই কাজ করত শিশু পাচারের সেফ হাউস রূপে। ঘটনার প্রায় সাড়ে তিনমাস পরে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য হাতে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের। শনিবার অতির্কিত পুলিশ সুপার চন্দ্রশেখর বর্ধন জানিয়েছেন এই সেফ হাউসের তত্ত্ব। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নার্সিংহোম মালিকও মালিকের ছেলেকে।[জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, সিআইডি-জালে দুই সরকারি আধিকারিক]
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার নার্সিংহোমে প্রথম শিশু পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তারপর একের পর এক হোম, নার্সিংহোমের অসাধু চক্র ফাঁস হতে শুরু করে। এমনই সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় একটি পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার হয় তিন শিশু। সন্দেহ হয়, কেউ এই শিশুদের ফেলে গিয়েছে ধরপাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে। সেইমতো তদন্ত জারি রাখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ।[ফের শিশু পাচার, কাঁথির নার্সিংহোম থেকে গ্রেফতার চিকিৎসক-সহ ৬]
শিশু উদ্ধারের সাড়ে তিন মাস পর জেলা পুলিশ কিনারা করেছে, কারা এই ঘটনায় জড়িত ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নার্সিংহোমের আড়ালে শিশু পাচারের ব্যবসা করা হত। শিশুদের নিরাপদে রাখার জন্য ব্যবহার করা হত নার্সিংহোম কক্ষগুলি। তারপর তাল বুঝে তা পাচার করে দেওয়া হত। ফলতার ওই নার্সিংহোমেও শিশুদের রেখে দত্তকের ভুয়ো কাগপত্র বানানোর কাজ হত।[১৪ বছরের নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে করে ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি করল স্বামী!]
যে তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয় পুকুর পাড় থেকে, তাদের পাচারের উদ্দেশ্যে এই নার্সিংহোমেই রাখা হয়েছিল। সেইসময় অত্যধিক ধরপাকড় চলতে থাকায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ফেলে যায় শিশুদের।[ভারতে বছরে ১ লক্ষ শিশু খোয়া যায়, শিশু চুরি ও পাচারে দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ]