শিশু পাচারকাণ্ডে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী
রাজ্যে শিশু পাচারকাণ্ডে তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। তিনি জাতীয় শিশু অধিকার কমিশনের রাজ্য শাখাকে বিষয়টি তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্ধমান, ২৯ নভেম্বর : : রাজ্যে শিশু পাচারকাণ্ডে তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। তিনি জাতীয় শিশু অধিকার কমিশনকে বিষয়টি তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো এনসিপিসিআর রাজ্য শিশু অধিকার কমিশনকে সিআইডি-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তদন্তের গতি প্রকৃতি জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোমগুলিই শিশু পাচারের আখড়া, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নজরদারি
এক মহিলার কাছে হঠাৎ দুই নবজাতক! পাচার-জল্পনায় স্থান চাইল্ড লাইনে
মানেকা
গান্ধী
বলেন,
পশ্চিমবঙ্গে
শিশু
পাচারের
ঘটনা
উদ্বেগজনক।
নার্সিংহোম
বা
হোমের
আড়ালে
যেভাবে
শিশু
পাচার
হচ্ছে,
তা
খতিয়ে
দেখে
জরুরি
ভিত্তিতে
ব্যবস্থা
গ্রহণ
করতে
নির্দেশ
দিয়েছেন
তিনি।
কেন্দ্রীয়
নারী
ও
শিশু
কল্যাণ
মন্ত্রীর
নির্দেশের
পরই
রাজ্যের
শিশু
কল্যাণ
মন্ত্রী
শশী
পাঁজা
সাংবাদিক
সম্মেলন
করে
জানান,
বেআইনি
শিশু
দত্তক
বন্ধ
করতে
কড়া
ব্যবস্থা
গ্রহণ
করা
হবে।
সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখেই দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নজরদারি জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেইসঙ্গে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে রাজ্য সরকারের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। কারণ বৃদ্ধাশ্রমগুলিকে লাইসেন্স দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে সিআইডি-র বিশেষ দল বর্ধমানের বেশ কয়েকটি নার্সিংহোমে অভিযান চালায়। গতকাল রাতভর অভিযান চালানো হয়েছে বর্ধমানের লাইফ লাইন নার্সিংহোমে। এই নার্সিংহোম থেকেই দু'দিন আগে এক আয়া শিশু পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। অভিযুক্ত নার্সিংহোমের মালিক ও চিকিৎসকের খোঁজ চালানোর পাশাপাশি জেলার অন্য নার্সিংহোমগুলিতেও অভিযান চালানো হয়।
১০ শিশুকে মেরে পুতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, বিস্ফোরক তথ্য পেল সিআইডি
৫০টিরও বেশি শিশু পাচার, বিদেশি যোগ আরও স্পষ্ট সিআইডি তদন্তে
এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ধমান জেলাশাসক। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ও অন্যান্য তদন্তকারী অফিসাররাও। দু'টি নার্সিংহোমই সিজ করে দেওয়া হয়েছে এদিন। এদিকে বাদুড়িয়ার নার্সিংহোমের 'হাতুড়ে' চিকিৎসক তপন বিশ্বাসকে এদিন ম্যারাথন জেরা করা হয়। শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক দিলীপ ঘোষকেও জেরা করা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার সোহান নার্সিংহোম দিয়ে শুরু। তারপর একে একে কলেজ স্ট্রিট ও বেহালার নার্সিংহোমে শিশু পাচার চক্র সামনে এসেছে। প্রকাশ হয়ে গিয়েছে মছলন্দপুরের এনজিও অফিসের আড়ালে শিশু বিক্রি কেনাবেচার রমরমা ব্যবসা। মৃত শিশুর কঙ্কালও উদ্ধার হয় এই এনজিও অফিসের পিছন থেকে। তারপরই ঠাকুরপুকুর, জোকা ও দোস্তিপুরের হোমের ক্রিয়াকলাপ প্রকাশ হয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এই শিশু পাচার কাণ্ডে নবতম সংযোজন বর্ধমানের নার্সিংহোম। মুখ্যমন্ত্রীও লখনউ সফরে যাবার আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে গিয়েছেন শিশু পাচার নিয়ে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বয়ং রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন। মন্ত্রীর নির্দেশ আসার পরই রাজ্য শিশু অধিকার কমিশনও তদারকি চালাতে শুরু করেছে এই তদন্তে।