শিশুপাচারকাণ্ডে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আটকাহন
শিশুপাচারকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী। ভারত-নেপাল সীমান্তের দার্জিলংয়ের খড়িবাড়ি থেকে তাঁকে মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে সিআইডি।
জলপাইগুড়ি, ১ মার্চ : ভারত-নেপাল সীমান্তে দার্জিলিংয়ের খড়িবাড়ি থেকে সিআইডি গ্রেফতার করেছে বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীকে। তাঁর নেপাল পালিয়ে যাওয়ার ছক বানচাল করে সিআইডি আধিকারিকরা জুহিকে পাকড়াও করতে সমর্থ হন মঙ্গলবার রাতে। কিন্তু কেন গ্রেফতার জুহি?[শিশুপাচারকাণ্ডে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে অবশেষে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী]
জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর নাম জড়িয়ে যায়। জলপাইগুড়ির 'আশ্রয়' হোমের আড়ালে শিশু পাচার চক্র চালাত বলে অভিযোগ ওঠে সংস্থার কর্ণধার তথা এলাকার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করার পরই উঠে আসে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী ও তাঁর বাবা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর নাম। সিআইডি জানতে পারে দত্তক ব্যবসার নাম করে তাঁরা আন্তর্জাতিক শিশু পাচার চক্র চালাত। আর এই কাজ সুষ্ঠুভাবে চালাতে দিল্লিতে দরবার করতেন জুহিই।[শিশুপাচারকাণ্ডে জুহির গ্রেফতারের পর চাপ বাড়ল বিজয়বর্গীয়-রূপা-দিলীপদের]
কী কী অভিযোগ জুহির বিরুদ্ধে?
- জুহি চৌধুরী দত্তক ব্যবসায় পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন চন্দনা চক্রবর্তীকে। সেই কারণে চন্দনা চক্রবর্তীকে নিয়ে তিনি একাধিকবার দিল্লি যাত্রা করেন।
- কেন্দ্রীয় স্তরে প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে জুহি চৌধুরী কারা-কে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলেন।
- দিল্লির নর্থ ব্লকে একাধিকবার একসঙ্গে ঢুকতে দেখা গিয়েছে জুহি চৌধুরী ও চন্দনা চক্রবর্তীকে। সেই সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজ এখন সিআইডি-র হাতে।
- চন্দনা চক্রবর্তীর দত্তক-ব্যবসার নামে শিশু বিক্রির কারবারে যাতে কোনও বাধা না আসে, তা দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জুহি। চন্দনা জেরায় এই দাবি করেছেন। এ জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়সাধন করবে জুহি।
- হোম চালানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমস্তরকম অনুদান পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন জুহি চৌধুরী।
- চন্দনা চক্রবর্তীর সংস্থাকে কেন্দ্রীয় অনুদান পাইয়ে দিতে প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও রুপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জুহি।
-
জুহির
সঙ্গে
এক
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী
ও
এক
প্রভাবশালী
কেন্দ্রীয়
নেতার
আপ্ত
সহায়কের
কথোপকোথন
হয়েছিল।
সেই
সংক্রান্ত
অডিও
রেকর্ডিং
সিআইডির
হাতে।
একাধিক
তথ্য
মিলেছে
এই
অডিও
ক্লিপিংস
থেকে।
- সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চন্দনার থেকে রিসর্ট ও ৫০ শতাংশ ব্যবসার অংশীদারিত্ব দাবি করেছিলেন জুহি।