টার্গেট কুমারী মায়েরা, সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই বিক্রি হয়ে যেত চন্দনা চক্রবর্তীর ‘আশ্রয়’ থেকে!
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যেত চন্দনা চক্রবর্তীর ‘আশ্রয়’ হোম থেকে! চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে জলপাইগুড়ির শিশুপাচার-কাণ্ডে।
জলপাইগুড়ি, ২২ ফেব্রুয়ারি : সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যেত চন্দনা চক্রবর্তীর 'আশ্রয়' হোম থেকে! চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে জলপাইগুড়ির শিশুপাচার-কাণ্ডে। সিআইডি আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন চন্দনাদেবীর সফট টার্গেট ছিলেন গর্ভবতী কুমারী মায়েরা। তাঁদের হোমে রেখেই বাচ্চাদের প্রসব করিয়ে ব্যবসা চালাতেন। সদ্যোজাত বিক্রি হয়ে যেত জন্মানোর আগেই।[জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিককে শোকজ জেলাশাসকের]
'আশ্রয়' হোমে তল্লাশি চালিয়ে দুই কুমারী মাকে উদ্ধার করেছে সিআইডি আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সিআইডি জানতে পেরেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুই কুমারী মাকে উদ্ধরা করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এক সন্তান জন্মানোর আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বিক্রির সমস্ত প্রক্রিয়া প্রস্তুত। সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই তাকে তুলে দেওয়া হবে নতুন 'বাবা-মা'র হাতে।[চন্দনাদেবীকে নিয়ে পৃথক সংস্থা খুলে দত্তক ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী!]
প্রসবের আগেই সন্তান বিক্রির এই ছক এক দম্পতির বয়ান থেকেই স্পষ্ট হয়েছে বলে সিআইডি-র দাবি। দত্তক ব্যবসা যে চুটিয়ে চালাচ্ছিলেন, তার যে বিদেশি লিঙ্কও তৈরি হয়েছিল, তার পিছনে বড় কৃতিত্ব ছিল বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর। সেই জুহিকে এখনও পাকড়াও করতে পারেনিন সিআইডি আধিকারিকরা।
আগেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পৃথক সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে দত্তকের ব্যবসা খুলতে চেয়েছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরী। তাঁর দিল্লি কানেকশন সংক্রান্ত তদন্তে নেমে সিআইডির হাতে উঠে আসে এই তথ্য। হোম মালিক তথা স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তীকে নিয়ে তাই বারবার দিল্লি দরবার করতেন তিনি। জুহির বাবা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীও এই ঘটনায় মেয়ের সঙ্গে থাকতেন।