রক্ষকই ভক্ষক! শিশুপাচারকাণ্ডে এবার গ্রেফতার জলপাইগুড়ির শিশু সুরক্ষা আধিকারিক
শিশু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল জলপাইগুড়ির শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষকে। এর আগে তাঁর স্বামী দার্জিলিংয়ের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জলপাইগুড়ি, ৬ মার্চ : শিশু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল জলপাইগুড়ির শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষকে। এর আগে তাঁর স্বামী দার্জিলিংয়ের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ ও শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্য দেবাশিস চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাস্মিতা ঘোষকে তিনদিন ধরে দফায় দফায় জেরা চলছিলই। তাঁর শোকজের উত্তরে সন্তুষ্ট না জেলাশাসক রবিবার তাঁকে সাসপেন্ড করেছিলেন। এবার সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করল।
এদিনই মৃণাল-সাস্মিতার শিলিগুড়ির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি আধিকারিকরা। শিশু পাচার সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। মূলত চন্দনা চক্রবর্তীর হোম থেকে বিক্রি হওয়া ১৭ শিশুর প্রকৃত পরিচয়ের তদন্তে নেমে সিআইডি আধিকারিকদের হাতে উঠে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শিশু পাচারের ঘটনায় সরকারি আধিকারিকদের যোগসূত্র আগেই সামনে এসেছে। ক্রমশই বাড়ছে সেই তালিকাও। দার্জিলিংয়ের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ ও শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্য দেবাশিস চন্দ গ্রেফতারের পর এবার জলপাইগুড়ি শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষও গ্রেফতার।
জেলাশাসক রচনা ভগৎ তাঁকে আগেই শোকজ করেছিলেন। কিন্তু শোকজের উত্তরে সন্তুষ্টি না মেলায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় রবিবার। তারপর এদিন দীর্ঘ জেরার পর সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, চন্দনাদেবীর সংস্থার মাধ্যমে দত্তকের নাম করে শিশু পাচারের ঘটনায় সাস্মিতা ঘোষের মদত ছিল। রবিবারও তিন ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়।