দুয়ারে সরকার স্থগিত হলেও গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত, প্রশ্ন করোনা বিধি জারিতে
দুয়ারে সরকার স্থগিত হলেও গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত, প্রশ্ন করোনা বিধি জারিতে
রাজ্যে বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবের আবহে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাধ্য হয়েছে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে। নতুন বছরের শুরু থেকেই করোনা সংক্রমণ লাফিয় লাফিয়ে বাড়ছে। তাই একপ্রকার আংশিক লকডাউনের রাস্তায় হাঁটলেও গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত এখনও জানায়নি রাজ্য।
করোনার অতি-সংক্রমণ শুরু হওয়ায় নবান্ন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার অর্থাৎ ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল দুয়ারে সরকার। শনিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার দুয়ারে সরকার হচ্ছে না করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে। রবিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, দুয়ারে সরকার একমাস পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যসচিব জানান, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দুয়ারে সরকার শুরু হবে। তবে তার আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন তিনি দুয়ারে সরকার শিবির শুরুর পরবর্তী দিনক্ষণ জানিয়ে বুঝিয়ে দেন, দুয়ারে সরকারে বন্ধ হচ্ছে না, স্থগিত করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই ফরে জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে দুয়ারে সরকার বসবে।
দুয়ারে সরকার নিয়ে একটা নির্দিষ্ট ধারণা দিলেও, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গঙ্গাসাগর মেলায় করোনা বিধির কোনও কোপ পড়ছে কি না, গঙ্গাসাগর মেলা এই পরিস্থিতিতে হবে কি না, তার সুস্পষ্ট কোনও উত্তর নেই করোনা-বিধিতে। এমনকী মুখ্যসচিবও কিছু জানাননি এ প্রসঙ্গে।
যেমন চার পুরনিগমের ভোট প্রচার নিয়ে কিছু জানানো হয়নি, তেমনই গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য করেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব। গঙ্গাসাগরে ১৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মেলা। সেই মেলা এই করোনা পরিস্থিতিতে চলবে, নাকি করোনার আবহে তা বাতিল করা হবে, তা নিয়ে কোনও বার্তা দেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব।
করোনা বিধির মধ্যে রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচন কীভাবে, কী জানালেন মুখ্যসচিব
গঙ্গাসাগর মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। জেলার করোনা পরিস্থিতির উপর যেমন নির্ভর করবে গঙ্গাসাগর মেলা, তেমনই রাজ্য সরকার রেল কর্তৃপক্ষ-সহ অন্যান্য দফতররে সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এখন যদি তা বন্ধ হয়ে যায়, বহু মানুষ সমস্যার মুখে পড়বেন। সবদিকে বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে।
নতুন বছরে শুরুর আগে উৎসবপ্রিয় বাঙালি আনন্দ-উন্মাদনায় মেতে ওঠেন। কিন্তু তাঁর ফলে করোনা সংক্রমণ যে এভাবে বেড়ে যাবে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাধ্য হয়েছে করোনা বিধি-নিষেধ আরোপ করতে। শুধু মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন বা কন্টেনমেন্ট পয়েন্ট করেই ক্ষান্ত থাকেনি রাজ্য। স্কুল-কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পাশপাশি, বিমান-রেল বা পরিবহণ পরিষেবাতেও রাশ টেনেছে। জারি করেছে আরও বিধি-নিষেধ।