সেকেন্ড ওয়েভ সামলাতে কি ব্যবস্থা? জরুরি তলবে রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানলেন মুখ্যসচিব
সেকেন্ড ওয়েভ সামলাতে কি ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে জরুরি তলবে বিস্তারিত জানলেন রাজ্যপাল
ভয়াবহ করোনা চিত্র। প্রত্যেকদিন করোনার সংক্রমণ আকাশছোঁয়া। প্রত্যেকদিন কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন দেশজুড়ে। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ভয় ধরাচ্ছে। ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভোটের বাংলাতে করোনা সংক্রমণ প্রায় সাত হাজার ছুঁইছুঁই। এই অবস্থায় কোন পথে বাংলা? লকডাউন নাকি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে আরও কড়া নবান্ন। তা নিয়ে ডুতু হয়েছে জল্পনা। আর এরই মধ্যে রাজভবনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজভবনে রাজ্যপালের মুখোমুখি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলাতে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা সকালেই সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে টুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকার করোনা রুখতে কি ব্যাবস্থা নিয়েছে তা জানতেন না রাজ্যপাল ধনকড়। আর তাতে ক্ষুব্ধ তিনি। জানা যায়, তড়িঘড়ি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়। করোনা মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ কি তা জানতে চান মুখ্যসচিবকে। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কী করছে, তা জানতে চেয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল।
করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত অত্যন্ত উদ্বেগ জনক
সোমবার সকালেও করোনা ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল ধনকড়। সকালেই ট্যুইট করে রাজ্যপাল বলেন, করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত অত্যন্ত উদ্বেগ জনক। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা এখন জানতে পারলাম না মুখ্য সচিবের কাছ থেকে। এরপরই তড়িঘড়ি রাজভবনে যান মুখ্যসচিব। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা রাজ্যপালকে জানান তিনি। জানা গেছে, মুখ্যসচিব রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো, ডেডিকেটেড চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলার মতো গৃহীত বন্দোবস্ত সম্পর্কে জানান তিনি।
টিকা না থাকার বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানোর আবেদন
রাজ্যে এখনও ঠিকঠাকভাবে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে সাধারণ মানুষকে তা দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, করোনার ক্ষেত্রে ওষুধ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়গুলি কেন্দ্রকে জানানোর জন্যে রাজ্যপালের কাছে আবেদন রাখেন মুখ্যসচিব। যদিও রাজ্যপাল ট্যুইট করে বলেন, মানবতার এই সংকটের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একযোগে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের কোনও সুযোগ নেই।
কেজরিওয়ালের ঘোষণা
এদিন কেজরিওয়াল লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছেন, দিল্লিতে এদিন রাত ১০ টা থেকে ছোট লকডাউন শুরু হচ্ছে। কেউ দিল্লি ছেড়ে যাবেন না। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বজায় থাকবে। বিবাহের কোনও অনুষ্ঠান থাকলে সেখানে ৫০ জনের জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, লকডাউনের সময়ে দিল্লির সব বেসরকারি অফিসের কর্মীরা বাড়ি থেকেই কাজ সারবেন। আর সরকারি ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার বিষয়গুলির সঙ্গে জড়িত কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে
ফের একবার ভোটের দফা কমানোর দাবি, ১৫ মিনিটে ভাষণে করোনার বাড়-বাড়ন্ত নিয়ে বিজেপিকেই নিশানা মমতার