বিএসএফ নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক! প্রমাণ চাইলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফের পক্ষে সওয়াল করলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা শুক্রবার বলেন, তৃণমূলের পক্ষে বিএসএফ সম্পর্কে মন্তব্য 'দুর্ভাগ্যজনক'। দুর্ভাগ্যজনক যে একটি রাজনৈতিক দল বিএসএফ সম্পর্কে বিভেদমূলক বার্তা দিচ্ছে। আমি তাদের অভিযোগের সমর্থনে শক্তিশালী প্রমাণ চেয়েছি।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কলকাতায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বিএসএফ দেশের অন্যতম সেরা বাহিনী। নির্বাচনী বিতর্কে কোনও বাহিনীকে জড়িত করার কোনও মানে নেই। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গভীর আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বেশিরভাগেরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, চরম উত্তেজনার মধ্যে নির্বাচন হতে চলেছে বাংলায়। রাজনৈতিক হিংসা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে হিংসাশ্রয়ী ঘটনার জেরে। আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করে, বিএসএফ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মানুষকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচনের আগে আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। খুব শীঘ্রই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দরকার। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি।

মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিবের সাথে আলোচনাপ পরে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভোটকেন্দ্রের কাছে কোনও সিভিক পুলিশ এবং গ্রিন পুলিশ থাকবে না। অরোরা বলেন, মহামারী পরিস্থিতি মাথায় রেখে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পূর্বে পশ্চিমবঙ্গে ৭৮,৯০৩টি ভোটকেন্দ্র ছিল। এখন রাজ্যে ১,০১,৭৯০টি ভোটকেন্দ্র করা হচ্ছে।