ছত্রধর তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই পেয়ে খুশি নন! জল্পনা বাড়ালেন একুশের আগে
ছত্রধর তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই পেয়ে খুশি নন! জল্পনা বাড়ালেন একুশের আগে
২০১৯-এ জঙ্গলমহল হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। এবার রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি জঙ্গলমহলকে পুনর্দখল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ লক্ষ্য। সেজন্যই সাংগঠনিক রদবদলে জঙ্গলমহলকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ছত্রধর মাহাতোকে রাখা হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। কিন্তু তবু তিনি খুশি নন ২০২১-এর আগে তৃণমূলের এই রদবদলে!
জেলার দায়িত্ব নিয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন ছত্রধর
ছত্রধর মাহাতো মনে করেন, ২০২১-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁকে জেলার দায়িত্ব দিলে অনেক ভালো হত। কেননা জেলার মানুষ তাঁকে চাইছিলেন। তিনিও চাইছিলেন জেলার মানুষের হতে কাজ করতে। তবু দল যা দিয়েছে, তা তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন। দল যে কাজ দেবে, তা তিনি মাথা পেতে করবেন বলে জানিয়েছেন।
জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য কাজ করতে চান
ছত্রধরের কথায় তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন ২০০৮ সাল থেকে। জনসাধারণের কমিটির মাথায় বসে তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখন তিনি জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য আরও কাজ করতে চান।
কুর্মীদের তৃণমূলমুখী করে তোলাই ছত্রধরের উদ্দেশ্য
সেইজন্য দল যা দায়িত্ব দিয়েছে তিনি তা মাথা পেতে নিয়ে কাজ করবেন। রাজ্য কমিটিতে থালেও তাঁকে জঙ্গলমহলের জন্যই কাজে লাগাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলে প্রায় ৩৫ শতাংশ কুর্মি সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। তাঁদের ফের তৃণমূলমুখী করে তোলাই ছত্রধরের উদ্দেশ্য।
তৃণমূলের লক্ষ্য জঙ্গলমহলে হৃত সম্মান পুরুদ্ধার
এখন দেখার ছত্রধরকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারেন কি না। ২০১৯-এ জঙ্গলমহলের সমস্ত আসনেই হারতে হয়েছিল। এবার ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহলে ভালো ফল করাই তৃণমূলের লক্ষ্য। তৃণমূলের লক্ষ্য জঙ্গলমহলে তাঁদের হৃত সম্মান পুরুদ্ধার করা।
নেই আস্থা ভোট নিয়ে অনুরোধ! রাজ্যপালের কাছে ফের অধিবেশনের দাবিতে গেহলটের অবস্থান নিয়ে জল্পনা