জঙ্গলমহলে সমীকরণ বদল! ১১ বছর পর লালগড়ে পা রাখতেই ‘সবুজ’ অভ্যর্থনা ছত্রধরকে
লালগড়ের 'নায়ক' ছত্রধর মাহাতো ১১ বছর পর পা রাখলেন লালগড়ে। ঝাড়গ্রাম জেলায় পা রাখতেই তাঁকে সংবর্ধনায় ভরিয়ে দিলেন তাঁর কমিটির পুরনো কর্মীরা। বালিভাষা থেকে লোধাশুলি সর্বত্রই সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন সাবিত্রী মন্দিরের কাছে সংবর্ধনা জানায় টিএমসিপি।

কর্মীদের সংবর্ধনায় ছত্রধর
রবিবার সকাল থেকেই তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল লালগড়বাসী। অবশেষে তিনি এলেন। তাঁকে অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দিলেন কর্মীরা। আড়ম্বরে কমতি ছিল না। পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান একে একে। ছত্রধর মাহাতোর দীর্ঘদিনের সঙ্গীরা তাঁকে সংবর্ধনা দেন।

জেল থেকে ফিরে মানুষের মাঝে
জেলের অন্ধকার কুঠুরির থেকে আলোয় ফিরে তিনি নিজেকে মানুষের কাজে সঁপে দিতে চেয়েছিলেন। জঙ্গলমহলের মানুষ এদিন তাঁকে ফের বরণ করে নিল। ফুল-মালা কিছুইর অভাব ছিল না। তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত ছিলেন শ্যামল মাহাতোর সঙ্গেই তিনি ফেরেন লালগড়ে।

জঙ্গলমহলের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায়
এবার তাঁর লক্ষ্য, সাধারণ মানুষকে নিয়ে তিনি জঙ্গলমহলের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা চেষ্টা করে য়াচ্ছেন, তিনিও এবার সেই স্বপ্ন পূরণের কাণ্ডারি হবেন। তিনি এমন মন্তব্যও করেন, আমার আর দিদির দেখা স্বপ্ন এক। সেই স্বপ্নগুলো এবার সব বাস্তবে রূপান্তরিত করতে হবে।

জঙ্গলমহল নিয়ে স্বপ্ন
ছত্রধরের কথায়, রাজ্যে এখন পট পরিবর্তন হয়েছে। বাম জমানার অবসান ঘটেছে। রাজ্যে ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তিনিও জঙ্গলমহল নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেমনটা আমিও দেখেছিলাম। অনেক কাজ হয়েছে, অনেক কাজ বাকিও। তাই বাকি কাজ করতে হবে। তিনি চান জঙ্গলমহলের মানুষকে নিয়েই সেই কাজ করতে।