ছত্রধর মাহাতোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমাল কলকাতা হাইকোর্ট
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ছত্রধর মাহাত সহ চার জনের সাজার মেয়াদ কমল। অন্যদিকে রাজা সারখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ছত্রধর মাহাত সহ চার জনের সাজার মেয়াদ কমল। অন্যদিকে রাজা সারখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। ছত্রধর সহ চার জনের শাস্তি কমে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতার ঘটনায়ইউএপিএ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয় ছত্রধর মাহাতো। ২০১৫ র ১২ মে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ছত্রধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় মেদিনীপুর আদালত।
মেদিনীপুর জেলা চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক কাবেরী বসু সাজা ঘোষণা করেন। ইউএপিএ আইনে ছত্রধর মাহাতো ছাড়াও সুখশান্তি বাস্কে, শাগুন মুর্মু, শম্ভু সোরেন, রাজা সরখেল এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের যাবজ্জীবন সাজা হয়। বর্তমানে ইউএপিএ ধারায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন ছত্রধর৷
২০০৮সালের ২নভেম্বর শালবনিরর জামবেদিয়ায় জিন্দল কারখানার শিল্যান্যাস সেরে মেদিনীপুরে ফেরার পথে ভাদুতলায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মাওবাদীদের মাইন বিস্ফোরণের মুখে পড়েন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ তারপর থেকেই লালগড় কার্যত মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়।
তখনই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ছত্রধর মাহাতোর নাম। ২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোকে।