ঝাড়গ্রাম আদালতে অন্য মেজাজে ছত্রধর মাহাতো
আগে তিনি যতবারই আদালতে এসেছেন ততবারই এসেছেন সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ঘেরা টোপে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোমবার একটি মামলায় জামিন নিতে তিনি ফের ঝাড়গ্রাম জেলার আদালতে এলেন। কিন্তু এই দিনের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এদিন ঝাড়গ্রাম আদালতে যখন লালগড় আন্দোলনের নেতা ছত্রধর মাহাতো এলেন তখন নেই কোনও পুলিশি পাহারা, নেই কোনও সশস্ত্র বাহিনীর ঘেরাটোপ।

অনেকটা মুক্ত বিহঙ্গের মতো আদালতে আসতে পেরে অন্য রকমের স্বাদ অনুভব করলেন তিনি। ২০০৯ সালে গাড়ড়োতে পুলিশী সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি ও লোকজন যে রাস্তা অবরোধকরে সেই মামলাতে জামিন নিতে আদালতে আসেন ছত্রধর মাহাতো। নিজেই জানিয়েছেন যে ভালো লাগছে তার। আগে আদালতে এসে পুলিশের ঘেরাটোপে থাকার জন্য কথা বলতে পারতেন না পরিচিত লোকজনের সাথে। এই দিন কিন্তু অনেকের সাথে কথা বলেছেন তিনি।
প্রায় এগারো বছর জেলে থাকার পরে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিজের জন্মভূমি লালগড় ফিরে এসেছেন জনসাধারণের কমিটির এই মুখ। গত সপ্তাহে ঝাড়গ্রামে এসে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একান্ত বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জির সাথে।

এই দিন আসেন ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতে। তার আইনজীবী কৌশিক সিনহাও বলেন এদিন একটি অন্য চিত্র। ছত্রধর মাহাতো যতবারই কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন প্রতিবারেই সশস্ত্রবাহিনীর ঘেরাটোপে তাকে নিয়ে আসা হত কোর্টে। কিন্তু এদিন ছত্রধর মাহাতো নিজে এসে হাজিরা দিলেন ঝাড়গ্রাম কোর্টে। কোন ঘেরাটোপ ছাড়া। আরও কিছু মামলা রয়েছে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে। তার দাবি এদিনের মতো অন্যান্য মামলাতেও বেকসুর খালাস পাবেন ছত্রধর মাহাতো। ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করা হলেও ছত্রধর প্রথম থেকেই আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এসেছেন বলেও জানান তিনি।