কৃষ্ণনগর সহ একাধিক জেলার 'সাংগঠনিক ক্ষেত্রে' রদবদল মমতার! কে কোন পদে এলেন?
২৪ এর আগে দলকে নতুন করে গোছাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিকে তাকিয়ে সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল করা হচ্ছে। বিশেষ করে নিচুতলায় একাধিক ক্ষেত্রে রদবদল করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল কৃষ্ণনগর। এই
২৪ এর আগে দলকে নতুন করে গোছাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিকে তাকিয়ে সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল করা হচ্ছে। বিশেষ করে নিচুতলায় একাধিক ক্ষেত্রে রদবদল করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল কৃষ্ণনগর। এই জেলার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিয়ে আসা হল কল্লোক খাঁ-কে।
সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই জেলার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে সরিয়েই নাকাশিপাড়ার ছয় বারের বিধায়ককে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি। এমনকি এই বিষয়ে মহুয়া মৈত্রের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কৃষ্ণনগর ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সভাপতি বদল করা হয়েছে। এমনটাই সর্বভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যমের প্রচারে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তর কলকাতার সভাপতি করা হয়েছে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এই দায়িত্বে থাকা তাপস রায়কে আরও গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন তাঁকে রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রকাশিত খবর অনুজাতি বনগাঁতেও সাংগঠনিক ভাবে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। তৃণমূলের সাংগঠনিক এই জেলায় এতদিন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে এসেছেন আলোরানি সরকার। এবার সেই জায়গাতে সভাপতি করা হয়েছে গোপাল শেঠকে। যিনি কিনা প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের।
এছাড়াও তমলুক সাংগঠনিক ক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। তবে এদিন যে দায়িত্ব রদবদল করা হয়েছে তাতে সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। জেলার সভাপতি করা হয়েছে তুষার মন্ডলকে।
শুধু দক্ষিণেই নয়, উত্তরেও বেশ কিছু সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কোচবিহার জেলার সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে। ওই জেলা সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে গিরিন বর্মনকে।
এখানেই শেষ নয়, আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে খুব শিঘ্রই সাংগঠনিক পরিবর্তন আনা হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসে নতুন করে গড়া হল রাজ্য কমিটি। সেই কমিটিতে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন হল ঠিকই, কিন্তু রাজ্য কমিটির সর্বোচ্চ পদে রয়ে গেলেন সেই সু্ব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্য কমিটিতে আনা হল সাংসদ সৌগত রায়কে। আর গড়া হল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। একইসঙ্গে মিডিয়া সেলও গড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার থেকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কড়া ভাবে সব্র উপর নজর রাখবে বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।