
হঠাৎ রদবদল স্বাস্থ্য দফতরে! স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীকে সরানো নিয়ে একাধিক জল্পনা
হঠাত রদবদল স্বাস্থ্য দফতরে। সরিয়ে দেওয়া হল অজয় চক্রবর্তীকে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিল তিনি। কিন্তু হঠাত করেই বদলি করা হয়েছে অজয়বাবুকে। উত্তরবঙ্গের ওএসডি করে রাতারাতি তাঁকে পাঠানো হয়েছে। হঠাত স্বাস্থ্য দফতরে কেন রদবদল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়েছে। যদিও একটি সূত্রের দাবি, অজয় চক্রবর্তীকে সরানোর পিছনে কোনও জল্পনা নেই। রুটিন বদলির মধ্যে পড়ে। যদিও তা মানতে নারাজ একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর রিপোর্টে সবচেয়ে খারাপ ফল করে বাংলা। সেই সময়েই অজয়বাবুকে সরানো হয়নি। ফলে আজ কখনই রুটিন বিষয় নয় বলেই দাবি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে দ্রুত রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হল সিদ্ধার্থ নিয়োগীকে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বদলির বিষয়ে বলা হয়। কিন্তু কি কারণে হঠাত এই রদবদল সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি বিজ্ঞপ্তিতেও বিস্তারিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিকর্তার বদলিই নয়, এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর নিয়োগ বোর্ডেও রদবদল করা হয়েছে। বোর্ডে'র নয়া চেয়ারম্যান হিসাবে সুদীপ্ত রায়কে দ্রুত কাজ বুঝে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা হিসাবে কাজ সামলে এসেছেন অজয় চক্রবর্তী। এমনকি করোনার সময়ে তাঁর কাজ সবার নজরে পড়েছে। এরপরেও রাতারাতি হঠাত কেন রদবদল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে। সাধারণ সম্পাদক ডা:সজল বিশ্বাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, " DHS পদটি এতদিন ধরে স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বোচ্চ পদ ছিল। সেই পদের একজন কর্মকর্তাকে তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গে বদলি কি কারণে করা হলো তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তরে চিকিৎসক প্রশাসকদের সরিয়ে দিয়ে ক্রমশ বুরোক্রাটদের বসানো হচ্ছে।স্বাস্থ্যের মত অত্যন্ত পেশাদারি দপ্তরের দায়িত্ব ভার যেভাবে অচিকিৎসক আমলাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত অগনতান্ত্রিক, অন্যায় এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিপন্থী বলেও দাবি ফোরামের।

তবে হঠাত অজয় চক্রবর্তীকে সরানো'র বিষয়টি নিয়ে একাধিক কারণ সামনে আসছে। বিশেষ করে রোগী রেফার-সহ একাধিক ইস্যুতে সংঘাত তৈরি হয়। স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে বিষয়টি পৌঁছে যায় বলেও জানা যায়। আর সেই কারণেই কি রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হল স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে? সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।