
কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না, দুয়ারে সরকার-পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের বিপুল সাফল্যের খতিয়ান দিলেন চন্দ্রিমা
ভোটের আগে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তাতে বিপুল সাফল্য এসেছিল। পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা খাতে তাই বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ষোড়শ বিধানসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নেত্রী বারবারই বিধায়কদের নিজেদের এলাকার উন্ন.নের উপর জোর দিয়েছেন।

কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না
২০২১-র বিধানসভা ভোটের আগে একাধিক ভোট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারমধ্যে অন্যতমছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার। মাসে মাসে বাড়ির মহিলাদের হাতে ৫০০ টাকা করে তুলে দেওয়া হবে। সেই প্রকল্প ক্ষমতায় আসার পরেই কার্যকর করেন তিনি। এবং পুজোর আগে সেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে গিয়েছেন সকলেই। এই বিপুল সাফল্য এসেছে দুয়ারে সরকার। পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির ক্ষেত্রেও। তার কোনও প্রকল্পই বন্ধ হবে না বলে জানানো হয়েছে।

দুয়ারে সরকারে বিপুল সাফল্য
২০২১-র ভোটের আগে যাকে বলে মমতার মাস্টার স্ট্রোক ছিল দুয়ারে সরকার। একুশের ভোটের জয়ের পরেও ২ বার সেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প হয়েছে। প্রথম পর্বে ৩২,৮৩০টি শিবির খোলা হয়েছিল। তাতে প্রায় ২.৭৫ কোটি নাগরিক সুবিধা পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্বে সেই শিবিরের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। তাতে সাড়ে তিন কোটির বেশি নাগরিক সুবিধা পেয়েছেন। শুক্রবার বাজেট পেশের সময় পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে এই তথ্য পেশ করা হয়েছে।

পাড়ায় পাড়ায় সমাধান
শুধু দুয়ারে সরকার নয়। পাড়ায় পাড়ায় সমাধানও বিপুল সাফল্য এনেছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা সহ একাধিক সমস্যা সহজেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পাড়ায় পাড়ায় সামাধান কর্মসূচি। রাস্তা থেকে জলের লাইন, বিদ্যুৎ সব কিছুই ছিল এর আওতায়। তাতে প্রায় ২ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে জানানো হয়েেছ। দ্বিতীয় পর্বে ২৩০০০ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এই কর্মসবচিতে।

তথ্য সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ
রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুরক্ষিত রাখতে নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে স্টেট স্পেসিয়াল ডাটা সেন্টার। এখানে রাজ্যের সব দফতরের জেলা স্তরের কার্যালয়ের তথ্য থাকবে। এখানে ক্লিক করলেই যেকেউ তার প্রয়োজন মত সরকারি দফতরে যাওয়ার ঠিকানা পেয়ে যাবেন। জেলাস্তরেও একাধিক তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলার কাজ হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। বিধানসভা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ৮৯১ কোটি টাকা করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা কর্পোরেশন এলাকাও রয়েছে।
টার্গেট লোকসভা ভোট, ২০২৪-র আগে গ্রামে গ্রামী পৌঁছে যাবে পানীয় জল, বাজেটে ঘোষণা চন্দ্রিমার