জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী-দশমী সপ্তাহান্তে, চন্দননগরে রেকর্ড ভিড়ের আশা
জগদ্ধাত্রী পুজো ছোট্ট শহর চন্দননগরের স্ট্যাটাস সিম্বল। দুর্গা পুজোয় এই শহর সাদামাটা থাকলেও জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় তার রূপ উথলে ওঠে। সাধারণভাবে সপ্তাহের মাঝখানে পুজো পড়লে অনেকে কর্মব্যবস্তার কারণে আসতে পারেন না ঠাকুর দেখতে। এ বার আর সেটা হচ্ছে না। পুজো শুরু হয়ে যাবে ২৯ অক্টোবর, বুধবার থেকে। ওইদিন ষষ্ঠী। ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার পড়ছে সপ্তমী। ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার অষ্টমী। আর পয়লা ও দোসরা নভেম্বর যথাক্রমে নবমী ও দশমী। নবমী শনিবার পড়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ঝেঁপে মানুষ আসবেন সারা রাত ধরে ঠাকুর দেখতে। পরের দিন রবিবার। ফলে কাজে যাওয়ার চাপ নেই। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সন্ধে থেকেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় জমে যাবে। সপ্তাহান্তে অতিরিক্ত ভিড় হবে ধরে নিয়ে এ বার আরও সতর্ক থাকবে পুলিশ-প্রশাসন।
নবমী পয়লা নভেম্বর, শনিবার। দশমী দোসরা নভেম্বর, রবিবার
চন্দননগর ও মানকুণ্ডুর নির্দিষ্ট বারোয়ারি পুজোগুলি এ বারও লোক টানতে আকর্ষণীয় থিমের ব্যবস্থা রাখবে। তবে সেটা কী হবে, তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয় এখনই। প্রতিযোগিতার বাজার বলে কথা! সব কি আর আগে থেকে বলা যায়! খলিসানী, ফটকগোড়া, বাগবাজার, বাগবাজার চৌমাথা, বড়বাজার, গোন্দলপাড়া মনসাতলা, মানকুণ্ডু নতুনপাড়া ইত্যাদি পুজোগুলি থিম তথা প্যান্ডেলে বরাবরই নজর কাড়ে। চন্দননগরের সবচেয়ে পুরনো পুজো তথা আগাগোড়া সাবেকি প্রতিমা দেখতে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের চাউলপট্টিতে ভিড় জমান মানুষ। কুড়ি ফুট লম্বা প্রতিমা দর্শন করতে জ্যোতি তেমাথায় ভেঙে পড়ে ভিড়। প্রসঙ্গত, জ্যোতি তেমাথার ঠাকুরটি হল উচ্চতম প্রতিমা। এটাই এই বারোয়ারির বৈশিষ্ট্য। চন্দননগরের আলোকসজ্জা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার দরকার নেই। এটা সর্বজনবিদিত।
এখানকার জগদ্ধাত্রী পুজোর আর একটি বৈশিষ্ট্য হল, প্রতিমার গায়ের গয়না। রুপোর আস্ত চাঁদমালা, প্রতিমার মাথার বিপুলাকার সোনার মুকুট, সোনার টিকলি, সোনার নথ, সোনার সাতনরি হার মায় দেবীর বাহন সিংহের মাথার সোনার সজ্জা তাক লাগিয়ে দেয় বাইরে থাকা আসা দর্শনার্থীদের।
এখন শুধু অপেক্ষা। দুর্গা পুজোর বিসর্জনের ঢাক বেজে উঠলেই চন্দননগরে পুজো উদ্যোক্তাদের নাওয়া-খাওয়া মাথায় উঠবে। জয় জগদ্ধাত্রী!