
মানহানির মামলায় তালা দিয়ে রুজিরাকে নিয়ে ফের অভিষেককে চ্যালেঞ্জ! ডিপেন্ডেবেল অপোজিশন বিজেপিই, বললেন শুভেন্দু
বিজেপি (BJP) রাজ্যে ডিপেন্ডেবেল অপোজিশন। বিধানসভার (Assembly) মধ্যে মন্ত্রীরা ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। এদিন বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তাঁর বিরুদ্ধে যেসব মামলা করেছেন, তা নিয়ে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দেন।


বিধানসভায় ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ
দুই বিধায়ককে সাসপেনশনের প্রতিবাদে এদিন বিধানসভায় বাইরে ধর্নায় বসেন বিরোধী দলনেতা-সহ অন্য বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই প্রথম ২০১১ সালের পরে পুলিশ বাজেট হচ্ছে। এই প্রথম স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রশ্ন উত্তর হবে। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার মূল আলোচনায় যা না, ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। এব্যাপারে তিনি মঙ্গলবার রাজ্যের অর্থ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হুঁশিয়ারি গিয়ে বলেন যদি ব্যক্তিগত আক্রমণ হয় তবে তীব্র পরিবাদ হবে।

ডিপেন্ডেবেল অপোজিশন বিজেপি
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যে উদ্দেশে রাজ্যে মানুষ একমাত্র বিজেপিকেই ডিপেন্ডেবেল অপোজিশন হিসেবে ভোট দিয়েছে, সেইভাবেই তারা কাজ করবেন। সক্রিয়ভাবে এবং গুরুত্বের সঙ্গেই সেই কাজ
তারা করবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যপালের ভাষণের দিন তারা ছাপ্পার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। কিন্তু যাঁরা রাজ্যপালকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

মানহানির মামলায় তালা
বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ও অনেক মানহানির মামলা করেছে। সবগুলিতেই হাইকোর্ট তালা লাগায়। এদিন সেরকম তালা লাগিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।

রুজিরাকে নিয়ে ফের অভিষেককে চ্যালেঞ্জ
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, তাঁর একটা অভিযোগ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মানহানির মামলা করেননি। সেটা হল রুজিরা নারুলার টাকা ব্যাঙ্ককে জমা হয়েছে, তা তিনি গতবছরে ভোটের প্রচারের সময় বারুইপুরে দেখিয়েছিলেন। চেকের কপি দেখিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে কোনও মানহানির মামলা হয়নি। ওই বিষয়টি নিয়ে মানহানির মামলা করার জন্য শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ জানান।
প্রসঙ্গত গত বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের বারুইপুরে দলীয় প্রচার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রানি মৌমাছি বলে সম্বোধন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভাইপো রানি মৌমাছি, সব মধু ওই খেয়েছে, আর তারা (শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যরা যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে) শ্রমিক মৌমাছি। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন প্রেসের জন্য একটা প্রতিলিপি নিয়ে এসেছেন। একটা কাগজের টুকরো দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন ভাল করে স্টাডি করে বলুন ম্যাডাম নারুলাটা কে? নিজেই উত্তর দিয়ে বলেছিলেন, গত লোকসভা ভোটের সময় এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে যিনি ধরা পড়েছিলেন, তিনিই ম্যাডাম নারুলা। তিনি আরও বলেছিলেন কয়লার টাকা কোথায় যায়, থাইল্যান্ডে যায়।