সোনার মেয়ে স্বপ্নার মা-এর ই সোনার হার ছিনতাই, জলপাইগুড়ির ঘটনায় চাঞ্চল্য
এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথেলনে ইতিহাস তৈরি করা মেয়ের মা-এরই সোনা ছিনতাই হয়ে গেল।
এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথেলনে ইতিহাস তৈরি করা মেয়ের মা-এরই সোনা ছিনতাই হয়ে গেল। সপ্তাহখানেক আগেই জাকার্তায় ইতিহাস তৈরি করে ভারতের প্রথম মহিলা হিসাবে হেপ্টাথনে সোনার পদক জিতেছেন স্বপ্না। এশিয়ান গেমসের পর এখনও বাড়ি ফেরননি তিনি। এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু, সোনার মেয়েকে জলপাইগুড়ি শহরের মানুষ বরণ করার আগেই ঘটে গেল এই ছিনতাই-এর ঘটনা।
স্বপ্নার মা বাসনা বর্মণের গলা থেকে এমনভাবে হার ছিনতাই করা হয় যে তিনি বড়সড় কোনও দুর্ঘটনার সম্মুখিন হতে পারতেন। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় কল্পনা রায়ের স্কুটিতে চেপে পাটকাটার ঘোষ পাড়ায় ডেঙ্গুয়াঝাড় বাজারে ওষুধ কিনতে যান স্বপ্নার মা বাসনা বর্মণ। কল্পনা সম্পর্কে স্বপ্নার মাসি এবং মা বাসনা বর্মণের বোন। অভিযোগ ওষুধ কিনে ফেরার পথে তাঁদের স্কুটির পিছন নেয় দুটি মোটর বাইক।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই বাইক চালকের মধ্যে একজন স্বপ্নার মা-এর গলার হার ছিনতাই করে নেয়। এরপর দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে পালিয়ে যায় দু'জনে। হার ছিনতাই হয়েছে বুঝতে পেরে ভেঙে পড়েন স্বপ্নার মা। রাস্তার মাঝখানেই স্কুটি দাঁড় করিয়ে তিনি নেমে পড়েন। রাস্তার উপর বসে পড়েই জ্ঞান হারান তিনি।
স্থানীয় মানুষজন বাসনাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। চিকিৎসক এসেও বিশ্রামের পরামর্শ দেন। আতঙ্কে এমনটা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। খবর পেয়ে স্বপ্নার বাড়িতে আসেন পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি, কোতোয়ালি থানার আই সি বিশ্বাশ্রয় সরকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানা।
স্বপ্নার মা ও মাসি জানিয়েছেন দুটো মোটরবাইকের কোনওটাতেই নম্বর প্লেট ছিল না। দুষ্কৃতীদের মুখেও কালো কাপড় বাঁধা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ধ্য়ার পর থেকেই এলাকায় ছিনতাই-এর ঘটনা বাড়ছে। পর্যাপ্ত পুলিশি টহল না থাকায় দুষ্কৃতীরা শহরে অপরাধের রাজ্য বিস্তার করছে বলেও অভিযোগ। যদিও এসপি আশ্বাস দিয়েছেন যে দ্রুত ছিনতাইবাজদের ধরা হবে।