রাজ্যের বিরোধিতা সত্ত্বেও পাহাড়ে কেন আধাসেনা কমাচ্ছে কেন্দ্র, পিছনে কোন অঙ্ক
অশান্ত পাহাড় থেকে ১০ কোম্পানি সেনা তুলে নেওয়া হবে। রাজ্যের তুমুল বিরোধিতায় সেই সংখ্যা সাতে নামিয়ে আনলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত ফেরায়নি কেন্দ্র।
রবিবার ছুটির দিনে কেন্দ্রের পত্রবোমায় হতচকিত রাজ্য সরকার। চিঠিতে সূচনা এসেছে, পাহাড় থেকে আধাসেনার একটা বড় অংশ তুলে নেওয়া হবে। এই ঘটনার পরই তুমুল বিরোধিতায় শামিল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পাল্টা প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারপর কিছুটা সুর বদলেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার।
চিঠি পাঠিয়ে প্রথমে জানানো হয়েছিল, অশান্ত পাহাড় থেকে ১০ কোম্পানি সেনা তুলে নেওয়া হবে। রাজ্যের তুমুল বিরোধিতায় সেই সংখ্যা সাতে নামিয়ে আনলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত ফেরায়নি কেন্দ্র। এমন সিদ্ধান্ত হতভম্ব অনেকেই।
রবিবারও ভোররাতে পাতলেবাসে রেশন দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। পরপর তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে। তারপরও কীভাবে কেন্দ্র সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে? এর পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে? কারণ সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর নাকি বিমল গুরুং শিবিরের তরফে কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
পাহাড়ে এতদিন ১৫ কোম্পানি আধাসেনা ছিল। ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ ও তিন কোম্পানি সশস্ত্র সীমা বল। সিআরপিএফের-ই ৭ কোম্পানি তুলে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুরভোটের সময় থেকে চার কোম্পানি আধাসেনা পাহাড়ে মোতায়েন ছিল। পরে আদালতের নির্দেশে ও রাজ্যের অনুরোধে বাকী কোম্পানি সেনা পাহাড়ে পাঠায় কেন্দ্র।
এই ঘটনা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ফোন করেন। বিষয়টি জানতে চান। তিনি বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। তারপর দশ কোম্পানি কমিয়ে সাত কোম্পানি সেনা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়।
বাহিনী তুলে নেওয়ায় ফের পাহাড়ের শান্তি বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার ও বিনয় তামাং বাহিনী। অন্যদিকে বাহিনী উঠে যাওয়ায় খুশির হাওয়া বিমল গুরুং শিবিরে। তবে কোন প্রেক্ষিতে কেন্দ্র এমন সিদ্ধান্ত নিল তা এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। পিছনের রাজনৈতিক অঙ্ক নিয়ে জল্পনা চললেও দুই পক্ষই আপাতত নীরব রয়েছে।