বিশ্বভারতীতে এবছর দেশিকোত্তম পাচ্ছেন না কেউই! সমার্বতনের আগে নয়া বিতর্ক
শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় সম্মানটি হল 'দেশিকোত্তম'। ঐতিহ্যময় এই সম্মানে এতদিন পর্যন্ত ভূষিত হয়েছেন বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা।
শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় সম্মানটি হল 'দেশিকোত্তম'। ঐতিহ্যময় এই সম্মানে এতদিন পর্যন্ত ভূষিত হয়েছেন বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা। এবছর এই সম্মান প্রাপকদের তালিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, যোগেন চৌধুরী, গুলজার, অমিতাভ ঘোষ, সুনীতি পাঠক, বিজ্ঞানী অশোক সেন, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। তবে সূত্রের খবর, তালিকায় এই নামগুলি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, এই নামের তালিকা তৈরি করার পর, নিয়ম মেনে এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালেয়র তরফে তা পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রককে। তালিকায় নাম দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কেন্দ্র। কারণ অমিতাভ ঘোষ ও গুলজার বহু ক্ষেত্রেই বিজেপি-র একাধিক নীতির বিরোধিতা করেন প্রকাশ্যে। গুজরাতের গোধরা কাণ্ড নিয়ে তাঁদের সরব হয়ে ওঠা ভালোভাবে নেয়নি পদ্মশিবির। অন্যদিকে,শিল্পী যোগেন চৌধুরী তৃণমূলের সাংসদ। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় যে মমতা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব তার খোঁজ রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। এদিকে, ২৫ তারিখ সমাবর্তনের আগে এই মুহূর্তে নতুন করে নামের তালিকায় ঠিক করে পাঠানোর সুযোগ নেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ২৫ মে বিশ্বভারতীতে একমঞ্চে মোদী-মমতা-হাসিনার উপস্থিতি নিয়ে যতটা উচ্ছসিত বিশ্ববিদ্যালয় ততটাই আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেশিকোত্তম প্রদান নিয়ে। দিল্লি জানিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীতে দেশিকোত্তম দেওয়া যায় কী না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। কিন্তু এর আগে একবার শেখ হাসিনা দেশিকোত্তম পেয়ে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনাও আর নেই। ফলে নির্ধারিত হয় প্রধানমন্ত্রী এবছরে বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কাউকেই দেশিকোত্তম প্রদান করবেন না। যদিও সরকারী ভাবে দেওয়া হয়েছে ঘটনার অন্য ব্যাখ্যা। জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সময় অত্যন্ত কম থাকায় সকাল ১০ টা থেকে ২ টোর মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। তাই দেশিকোত্তম প্রদানের অনুষ্ঠান 'পিছিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ' ,তবে বাতিল করা হচ্ছে না।