লকডাউনের নামে কাজে বাধা! করোনা পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় দলের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য
লকডাউনের নামে কাজে বাধা! করোনা পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় দলের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য
সোমবার রাজ্যের অভিযোগ ছিল তাদের না জানিয়ে কেন্দ্রীয় টিম পাঠানো হয়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আঘাত বলেও মন্তব্য করা হয়েছিল সরকারি দল তৃণমূলের তরফে। আর এদিন কেন্দ্রীয় টিমের অভিযোগ হল তাঁদের কাজে বাধা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তবে যেসব এলাকায় কেন্দ্রীয় দল গিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিএসএফ-এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও পাঠানো হয়েছে।
সহযোগিতা না করার অভিযোগ কেন্দ্রীয় দলের
তাদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এদিন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসা কেন্দ্রীয় দলের পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাসেসমেন্ট প্রোসেসে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় দলের পক্ষ থেকে। তবে কেন্দ্রীয় দল নবান্ন এবং রাজ্য সচিবালয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে।
লকডাউনের নামে বাধা
কেন্দ্রীয় দলের তরফে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী লকডাউনের নামে তাদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় দলের সফর উপকারে লাগতে পারে রাজ্যের
কেন্দ্রীয় দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, তাঁদেরকে পশ্চিমবঙ্গে পাছানো হয়েছে। এই দলে এনডিএমের আধিকারিক ছাড়াও, স্বাস্থ্যমন্ত্রক, উপভোক্তা মন্ত্রকের আধিকারিকরাও রয়েছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দলের কাজ হল রাজ্যকে সাহায্য করা। বলেছেন ওই সদস্য।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেন্দ্রীয় দল নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কথা বলেছিলেন দুপুর একটায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় দল কার্গো বিমানে কলকাতা এসে গিয়েছিল সকাল ১০ টায়। আগে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো রীতির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত, বললেন ডেরেক
করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির থেকে ছটি রাজ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু এই কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর মাপকাঠি কী, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি এই প্রশ্ন তুলেছেন। ডেরেক বলেন, ছটি রাজ্যের মধ্যে পাঁচটিই বিজেপি বিরোধী দল শাসিত রাজ্য।
ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছেন যেভাবে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে, তাতে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত। কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, তারা যদি রাজ্য সরকারকে অবহিত না করে দুঃসাহসিক ভ্রমণ চান, দল পৌঁছনোর ৩ ঘন্টা পরে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে ফোন করেন, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিচায়ক নয়।