মমতা দ্বিচারিতা করছেন! বাংলায় এনআরসি কার্যকর হবেই, জোর সওয়াল স্মৃতির
বাংলায় এনআরসি হবেই। যতই বিরোধিতা করুণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি তাতে একটুও দেম যাবে না। বরং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা থেকে আরও মনোবল সঞ্চয় করে ঝাঁপিয়ে পড়বে এনআরসিতে।
বাংলায় এনআরসি হবেই। যতই বিরোধিতা করুণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি তাতে একটুও দেম যাবে না। বরং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা থেকে আরও মনোবল সঞ্চয় করে ঝাঁপিয়ে পড়বে এনআরসিতে। রাজ্যে এসে বাংলায় এনআরসির জন্য জোর সওয়াল চালিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই এনআরসি হবে।
মোদী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্মৃতি ইরানি বলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যে কোনও উপায়ে তাঁরা দেশে এনআরসি করবেই। মোদী সরকার এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ইতিমধ্যে অনেক রাজ্যও চাইছে এনআরসি করতে। উত্তর-পূর্বের অনেক রাজ্য থেকে এই দাবি উঠেছে, তাহলে বাংলা বাদ যাবে কেন?
উল্লেখ্, সম্প্রতি অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই সি্দ্ধান্ত নিতে পারেনি। তাঁরা কী করবেন, কোথায় যাবেন, এ ব্যাপারে একেবারে অন্ধকারে মোদী সরকার।
তার উপর অসমে এনআরসির পিছনে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই এখন বেঁকে বসেছেন। তালিকা দেখে তাঁরা অখুশি। কংগ্রেস থেকে শুরু করে এআইইউডিএফ চূড়ান্ত অখুশি। অখুশি বিজেপির জোটসঙ্গী অসম গণপরিষদও। তা সত্ত্বেও মোদী সরকারের মন্ত্রী বাংলায় এসে এনআরসি নিয়ে ঢালাও প্রচার চালিয়ে গেলেন।
এনআরসি ইস্যুতে স্মৃতির যুক্তি, অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে গোচা দেশেই এনআরসি জরুরি। এর ফলে বৈধ নাগরিক কাউকেই দেশ ছেড়ে যেতে হবে না। তবে অনুপ্রবেশকারীরা রেহাই পাবেন না কোনওমতে। এদিন স্মৃতি অভিযোগ করেন মমতা দ্বিচারিতা করছেন। এর আগে সচিত্র ভোটার কার্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মমতা, এখন তিনি এনআরসির বিরোধিতা করছেন।
[ আরও বাড়বে মূদ্রাস্ফীতি, মধ্যবিত্তের পকেটে কোপ পড়ার আশঙ্কা]