মমতার সরকারের কাছে তৃতীয়বার আর্জি ইরানির মন্ত্রকের! জুটমিল খোলা নিয়ে কী অবস্থান
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের জেরে প্রায় সমস্ত শিল্প, কল-কারখানা বন্ধ। অর্থনীতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার যখন লকডাউন বাড়াতে বাধ্য হয়েছে, তখন বিকল্প ভাবনাও ভাবতে হবে। তাই এবার জুটমিল খুলতে রাজ্যকে চিঠি লিখল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের বস্ত্রমন্ত্রক এই মর্মে চিঠি পাঠায় রাজ্যকে।

কেন্দ্র তিনবার চিঠি লিখেছে রাজ্যকে
বস্ত্রমন্ত্রক নয় নয় করে তিনবার চিঠি লিখেছে রাজ্যকে। রাজ্য অবশ্য কোনওরকম দৃকপাত করেনি। রাজ্য নীরব তৃতীয় চিঠি হাতে পেয়েও। বস্ত্রমন্ত্রক রাজ্যকে লিখেছে, লকডাউন চললেও যথাযথ সুরক্ষা বজায় রেখে উৎপাদন শুরু করা দরকার জুটমিলে। রাজ্যে যে চটকলগুলো রয়েছে, সেখানে উৎপাদন শুরু করা হোক।

কবে কবে চিঠি আসে নবান্নে
রাজ্যকে প্রথম চিঠি পাঠানো হয়েছিল ৪ এপ্রিল। তখনও লকডাউন চলছে। আর প্রথম লকডাউনের একেবারে শেষপর্যায়ে অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল ফের চিঠি লেখে বস্ত্রমন্ত্রক। এরপর ১৫ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার ফের তারা চিঠি দিল রাজ্যকে। সেই চিঠিতেও বস্ত্রমন্ত্রক অবিলম্বে রাজ্যকে চটকলে উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।

চিঠিতে কী লিখল বস্ত্রমন্ত্রক
বস্ত্রমন্ত্রক চিঠিতে লিখেছে, কৃষকরা এখন রবিশস্য কাটতে শুরু করেছে। এখন চটের বস্তার চাহিদা তুঙ্গে উঠবে। দীর্ঘদিন লকডাউনের জেরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখনই উৎপাদন শুরু না হলে সমস্যা আরও ঘনীভূত হবে। তার জন্যই বস্ত্রমন্ত্রক রাজ্যকে বারবার জানাচ্ছে চটকল খুলতে।

বস্ত্রমন্ত্রকের গাইডলাইন করোনা সুরক্ষায়
লকডাউনের সুরক্ষা মানতেও গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। বস্ত্রমন্ত্রক চিঠিতে জানিয়েছে, ১৮টি জুটমিল খোলা হোক। সেখানে ২৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে এই উৎপাদন শুরু করা হোক। তা না হলে খাদ্যশস্য প্যাকেজিংয়েই সমস্যা দেখা দেবে। মানুষের কাছে খাদ্য শস্য পাঠানোই যাবে না।

চিঠিতে উল্লেখযোগ্য দাবি
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে- জুট এবং জুট টেক্সটাইল জরুরি পণ্যের মধ্যে পড়ে। খাদ্যশস্য প্যাকেজিং না করা গেলে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে সেই চাহিদা আরও অনেক বাড়বে বলে জানিয়েছে খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ বিভাগ। উল্লেখ্য, খাদ্যশস্য প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ চটের বস্তা ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইনেও উল্লেখ
প্রসঙ্গত বলা যায়, এদিনই লকডাউনের মধ্যে কোথায় কোথায় ছাড় মিলবে, তা জানিয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানেও সুরক্ষা বজায় রেখে জুটমিল খোলার কথা বলা হয়েছে। তাও এদিনের চিঠিতে উল্লেখ করেছে বস্ত্রমন্ত্রক। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে বস্ত্রমন্ত্রকের সচিব এই আর্জি জানিয়েছেন।

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই নির্বাচনী ভোটগ্রহণ শুরু! এশিয়ার এই দেশে কীভাবে চলছে 'ইলেকশন'