রাজ্য পুলিশ নয়, রাজ্যপালের সুরক্ষায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী
রাজ্য প্রশাসনের ওপর আস্থা নেই বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। কার্নিভালের দিন তাঁর বসার জায়গা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এবং তাঁর সংঘাত তুঙ্গে। এরই মধ্যে আরও এক বিষয় অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল রাজ্যের।
রাজ্য প্রশাসনের ওপর আস্থা নেই বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। কার্নিভালের দিন তাঁর বসার জায়গা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এবং তাঁর সংঘাত তুঙ্গে। এরই মধ্যে আরও এক বিষয় অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল রাজ্যের। এবার থেকে রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে না রাজ্য পুলিশ। বরং এই দায়িত্ব পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সূত্রের খবর, এখন থেকে রাজ্যপালের দায়িত্বে চার থেকে পাঁচজন আধাসেনা থাকবে। এই উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব। বর্তমানে রাজ্যপাল জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রাজ্যপালের জন্য জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দাবি করে বাংলার বিজেপি নেতারা। শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশের থেকে দায়িত্ব কেড়ে নিয়ে তা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়ার আবেদনও করা হয়। সেই আবেদনে সাড়া দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার থেকে তাই রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কিছুদিন আগেই কার্নিভাল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন জগদীপ ধনকর। তাঁর অভিযোগ কার্নিভালে তাঁকে চূড়ান্ত অপমান করা হয়েছে। এদিন রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, দুর্গা পুজোর কার্নিভালে তিনি ৪ ঘন্টা বসেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল। কোথাও তাঁকে দেখানো হয়নি। তাঁর নাম উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। তিনি মর্মাহত বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। অভিযোগ উড়িয়ে সরকার জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।
অন্যদিকে, যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালের নিরাপত্তা চেয়ে দিল্লিতে আবেদন করে বিজেপি। ওইদিন পড়ুয়াদের ঘেরাটোপ থেকে বাবুলকে উদ্ধার করতে মুখ্যমন্ত্রীর বারণ সত্ত্বেও যাদবপুরে স্বয়ং যান রাজ্যপাল। সেদিন গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজেও।