মমতার সরকারের ব্যর্থতা 'হিসেবের অঙ্কে' তুলে ধরল কেন্দ্র, সংঘাত ফের চরমে
কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে ফের সংঘাতের সৃষ্টি হতে চলেছে মোদী সরকারের প্রকাশিত একটি হিসাবকে ঘিরে। মোদি সরকারের জল জীবন মিশনের বা জেজেএম নিয়ে এখন মমতার সঙ্গে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। মোদী সরকার যখন লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে নলের জল সরবরাহ করার, তখন রাজ্য ব্যর্থ বলে অভিযোগ।

পানীয় জল সরবরাহের স্কিমে ব্যর্থ মমতা
কেন্দ্রের দাবি, আর্সেনিক বা ফ্লোরাইডমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের জন্য জেজেএম স্কিমের আওতায় ২০১৭ সালে থেকে কাজ চলছে। ২০১৭-র মার্চে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে মোট ১,৩০৫.৭০ কোটি টাকা বরাদ্দবাবদ প্রদান করলেও, রাজ্য সব টাকা ব্যবহার করতে পারেনি। এখনও ৫৩৭.৩৬ কোটি টাকা অব্যবহৃত রয়েছে বলে জলশক্তি মন্ত্রকের দাবি।

কেন্দ্রের হিসাবে মমতার সরকারের অবস্থান
কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৭-র মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত অর্থের ৫৬ শতাংশ ব্যবহার করতে পারেনি। ২০১৯-২০ সালে ৩২ লক্ষ পরিবারকে ট্যাপ সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় কেবল ৪,৭৫০টি নলের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যে। এই সালে ৯৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, এর মধ্যে রাজ্য কেবল ৪২৮ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে।

জলশক্তি মিশনের আওতাধীন কাজের ধীর অগ্রগতি
কেন্দ্রীয় জল শক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখে রাজ্যে জলশক্তি মিশনের আওতাধীন কাজের ধীর অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ৯৯৪ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ২০২০-২১ সালে ১,৬১০.৭৬ কোটি টাকা করা হয়েছে।

সময়সীমার মধ্যে লক্ষ্য অর্জনের বার্তা মমতাকে
পশ্চিমবঙ্গে জেজেএম প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিলের ২,৭৬০ কোটি টাকা রয়েছে। আগের বছরের অব্যবহৃত টাকা নিয়ে। জেজেএম বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫,৬৪৫ কোটি টাকা থাকবে। এই টাকায় প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারকে পানীয় জল সরবরাহ করাই জাতীয় অগ্রাধিকার। সময়সীমার মধ্যে লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা শুরু করতে বলেছে কেন্দ্র।

২০২৪ সালের মধ্যে প্রতি পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগ
জেজেএম প্রকল্পে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারকে নলের সংযোগের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী তার স্বাধীনতা দিবসের শেষ বক্তৃতায় এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশেষত গ্রামীণ মহিলাদের জীবন উন্নয়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্প ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।