বেড়াতে এসে ইভিটিজিংয়ের শিকার পাত্রসায়রের সিডিপিও, গ্রেফতার ৩ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র
বেড়াতে এসে ইভিটিজিংয়ের শিকার হলেন পাত্রসায়রের সিডিপিও। বিষ্ণুপুরের লালবাঁধে এই ইভিটিজিংয়ের ঘটনায় অভিযোগের তির তিন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দিকে।
বাঁকুড়া, ২৮ ফেব্রুয়ারি : বেড়াতে এসে ইভিটিজিংয়ের শিকার হলেন পাত্রসায়রের সিডিপিও। বিষ্ণুপুরের লালবাঁধের কাছে এই ঘটনা ঘটে শুক্রবার রাতে। ইভিটিজিংয়ের ঘটনায় অভিযোগের তির তিন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দিকে। তাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করলে সিডিপিও সৌমিলি দাসের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এসিডিপিওর কছে অভিযোগ জানান সৌমিলিদেবী।
স্বামী ও তিন বন্ধুর সঙ্গে বিষ্ণুপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিডিপিও। তাঁরা লাল বাঁধে যখন গল্প করছিলেন, তখনই তিন যুবক এসে সৌমিলিদেবীকে উদ্দেশ্য করে নানা কটূক্তি করতে থাকেন। প্রথমে বারণ করেছিলেন সৌমিলিদেবীরা। কিন্তু ইভিটিজিংয়ের মাত্রা তাতে আরও বেড়ে গিয়েছিল। এরপর ইভিটিজারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মোবাইলে কথাবার্তা রেকর্ড করতে শুরু করেন সিডিপিও।
তা বুঝতে পেরেই চড়াও হন তিন যুবক। তাঁরা সৌমিলিদেবীর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন বলেও অভিযোগ। এরপর বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের শরমাপন্ন হন আক্রান্তরা। পুলিশ চটজলদি ব্যবস্থা নিয়ে তিন যুবকে গ্রেফতার করে। ওই তিন যুবক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র।
ধৃতদের নাম মহম্মদ আলি, শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায় ও ইশান রজক। তিনজনেই বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হয়েও যে ভাবে ওরা অভব্য আচরণ করেছে, তাতে অদের কড়া শাস্তি প্রাপ্য। সৌমিলিদেবী বলেন, আমার সঙ্গেই যদি ওরা এমন নোংরা ব্যবহার করে, তাহলে সাধারণ মহিলার সঙ্গে কীরকম আচরণ করবে। তাই ওদের শিক্ষা হওয়া উচিত।