সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন খারিজের দাবিতে মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই!
ওড়িশা হাইকোর্টের রায়কে একতরফা দাবি করে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চলেছে সিবিআই। মঙ্গলবারের মধ্যেই ‘অ্যাপিল পিটিশন’ জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে।
রোজভ্যালিকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন পেয়েছেন চারমাস পর। মাত্র একদিন আগে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরেছেন কলকাতায়। এরই মধ্যে ওড়িশা হাইকোর্টের সেই রায়কে একতরফা বলে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চলেছে সিবিআই। মঙ্গলবারের মধ্যেই 'অাপিল পিটিশন' জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তাঁদের সওয়ালকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টেও প্রভাবশালী তত্ত্বকে হাতিয়ার করেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন খারিজের আবেদন জানানো হবে। সিবিআইয়ের দাবি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতা বাইরে থাকলে, তদন্তে প্রভাব তো পড়বেই, প্রভাবিত হবেন সাক্ষীরাও। ফলে নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হবে। সেইসঙ্গে তথ্য নষ্টের সম্ভাবনাও থাকছে।
আদালতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রভাবশালী হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি, হাসপাতালে তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন, তাঁর অসুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সিবিআই। সেইসঙ্গে তিনি যে রোজভ্যালিকাণ্ডে টাকা নিয়েছেন, সেই প্রমাণও দাখিল করা হয়। তাসত্ত্বেও তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার শারীরিক অসুস্থতাকে।
কিন্তু সেই শারীরিক অসুস্থতাকে নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েনি সিবিআই। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুদীপ পত্নী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সিবিআই এই অভিযোগও সুপ্রিম কোর্টে জানাবে যে, তিনমাস হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, বড় কোনও রোগ ধরা পড়েনি সুদীপবাবুর। এবং বড় কোনও রোগের চিকিৎসা বা মেডিকেল টেস্টও হয়নি। বরং বিলাবহুল জীবনযাপনের জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে হাসপাতালকে।
ওড়িশা থেকে জামিন পেয়ে কলকাতায় ফিরলেও, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন ফের পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছে। এবার বিচার শীর্ষ আদালতে। সুদীপবাবু জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমার অসুস্থতাও আদালত মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করবে।
{promotion-urls}