দাউদের উদাহরণ টেনে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারির অনুমতি চাইল সিবিআই
মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম আসামী দাউদের প্রসঙ্গ টেনে সারদা মামলায় রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুমতি চাইল সিবিআই।
মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিমের প্রসঙ্গ টেনে সারদা মামলায় রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুমতি চাইল সিবিআই। মামলার শুনানি শেষ করে বৃহস্পতিবার রায়দান স্থগিত রাখেন আলিপুর দায়রা আদালতের বিচারক সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এদিন আলিপুর দায়রা আদালতে মামলার শুনানিতে সিবিআই কৌঁসুলি বলেন, ১৯৯২ সাকেও মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিমও পলাতক ছিল এবং সেই সময়ও নিম্ন আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ দিয়েছিল। এক্ষেত্রেও রাজীব কুমার একই অবস্থায় রয়েছেন। তাই রাজীবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করুক আদালত।
সিবিআই-এর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানতে চায়, 'রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারের কী প্রয়োজনীয়তা হল সিবিআই-এর?'
উত্তরে এসবিআইয়ের আইনজীবী জানান, 'রাজীব কুমারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিক জায়গায় যায় সিবিআই। আইন মেনে নোটিশও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সশরীরে রাজীব কুমারকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। সারদা মামলার তথ্য গোপন করে সজ্ঞানে রাজীব কুমার ষড়যন্ত্র করছেন। তার কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। সেটা গোপন করার চেষ্টা করছেন। কেউ যদি তদন্ত অসহযোগিতা করে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া সিবিআইয়ের অন্য কোনও পথ খোলা থাকে না। সেই নির্দেশও রয়েছে সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টের।
[ তাঁরা মাটির মানুষ! দেউচা নিয়ে মমতা ওড়ালেন বিজেপি সাংসদের অভিযোগ]
পাশাপাশি, মুম্বই বিস্ফোরণে দাউদ ইব্রাহিম প্রসঙ্গে বলেন, যে তাকেও জেরার জন্য একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিশের কোনও উত্তর তিনি দেননি। তাই নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়ে দাউদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
[দেউচায় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ! মমতার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের]
রাজীবের আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সারদা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে প্রশাসনিক পদ সামলেছেন। তার সম্মানহানি হচ্ছে। তার জীবন-জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটছে। রাজীব সারদা মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিট-এর অন্যতম শীর্ষ তদন্তকারী অফিসার ছাড়া অন্য কিছু ছিলেন না। এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তার নাম নেই। সারদা মামলা চার্জশিটেও রাজীব কুমারের নাম নেই। তাহলে কেন তাকে হেফাজত নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে? প্রশ্ন করেন রাজীবের আইনজীবী গোপাল হালদার।