মমতার বাড়িতে সিবিআই-এর নোটিস! 'প্রতিহিংসার চাল' দাবি তুলে পাল্টা লড়াইয়ে তৃণমূল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির প্রদর্শনী ও ছবি বিক্রি সংক্রান্ত ঘটনায় বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কোনও মালিক জড়িত রয়েছেন কী না, তার তদন্তে নেমে এবার সিবিআই-এর নোটিস
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির প্রদর্শনী ও ছবি বিক্রি সংক্রান্ত ঘটনায় বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কোনও মালিক জড়িত রয়েছেন কী না, তার তদন্তে নেমে এবার সিবিআই নোটিস পাঠাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ৪০ বছর ধরে সচিব হিসাবে কাজ করেন মানিক মজুমদার । তাঁকেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শুধু মানিক মজুমদারই নন, সিবিআইয়ের চিঠি পৌঁছেছে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান ও সুব্রত বক্সির কাছেও। আগামী ১০ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
গোটা বিষয়টিকে যদিও 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার' পাল্টা চাল হিসাবেই দেখছে তৃণমূল। আইনি লড়াইয়ে বিজেপির রথযাত্রা ভেস্তে যাওয়া র পরই চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এভাবে 'চাপ'-এর রাজনীতির পথে হাঁটছএ বলে দাবি তৃণমূল সূত্রে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি এই ধরণের পদক্ষেপ নিয়ে বশ্যতা স্বীকার করার জন্য চাপ দিতে চাইছে। কিন্তু সেই চাপের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নতি স্বীকার করবে না বলেও নীতি নির্ধারিত হয়েছে। ফলে যাঁদের নামে সিবিআইয়ের চিঠি এসেছে তাঁরা কেউ হাজিরা দেবেন না বলে সূত্রের দাবি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি 'ধমক-চমক' এর রাজনীতি করছে বিজেপি, তবে বাংলার মাটি পদ্ম শিবির চেনেনা, ফলে ভয় দেখিয়ে বিজেপির লাভের লাভ হবে না ।
এদিকে, সিবিআইয়ের দাবি তৃণমূলের মুখপত্রের তহবিল যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণ করে , চিঠি কেবল তাঁদেরই পাঠানো হয়েছে। আর সেই সূত্র ধরে ব্যাঙ্ক ও আয়কর দফতরে যেহেত তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের ঠিকানা ৩০ বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট দেওয়া রয়েছে, তাই সেই ঠিকানাতেই চিঠি পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত , আট বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির ২ টি আলাদা প্রদর্শনী হয়। যে ছবি বিক্রির টাকা শাসকদলের মুখপত্রের তহবিলে জমা পড়ে। সিবিআই দাবি করছে, সেই ছবি যেমন বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিত্ব কিনেছিলেন তেমনই কিনেছিলেন এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিকও।অন্য কোনও ব্যক্তিকে সামনে রেখে ওই বেই আইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক মমতার আঁকা ছবি কেনেন। তদন্তকারী সংস্থা তৃণমূলের মুখপত্রের তহবিল ও সারদা-রোজভ্য়ালির মত সংস্থার বিভিন্ন আর্থিক দিক খতিয়ে দেখছে এই ছবি কেনাবেচা সংক্রান্ত ঘটনায়। শোনা যাচ্ছে এর মধ্যে সিবিআই অনেক যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছে ধীরে ধীরে। এদিকে, ওই ছবি বিক্রি ও কেনবার সময় সহবিলের স্বাক্ষরকারী হিসাবে নাম আসে সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানের। অন্যদিকে ,দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক সুব্রত বক্সি। এবার তাঁদের কাছ থেকেই বিষয়টি সম্পর্কে আরও তথ্যাদি আরও স্পষ্ট করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।