ফরেনসিক পরীক্ষা গৌতম কুণ্ডুর মোবাইল ফোনের, এবার কে সিবিআই নজরে?
চিটফান্ড কাণ্ডে রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর গ্রেফতারির পরে অনেকদিন কেটে গিয়েছিল। গোপনে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। তবে হঠাৎ করে একটি মেরুন ডায়েরি ও গোপন মোবাইল ফোনই তদন্তের প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছে
কলকাতা, ৮ জানুয়ারি : চিটফান্ড কাণ্ডে রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর গ্রেফতারির পরে অনেকদিন কেটে গিয়েছিল। গোপনে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। তবে হঠাৎ করেই একটি মেরুন ডায়েরি ও গোপন মোবাইল ফোনই তদন্তের প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছে সিবিআইয়ের।
এবার সারদা চিটফান্ড কাণ্ডেও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা সিবিআইয়ের
এবার রোজভ্যালির উপঢৌকন প্রাপকদের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে সিবিআই
সূত্রের খবর, এই দুটি সূত্রে পাওয়া প্রাথমিক প্রমাণ ও গ্রেফতার হওয়া গৌতম কুণ্ডু ও অন্যান্যদের বয়ানের ভিত্তিতেই পরপর গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
জানা গিয়েছে, গোপন ডায়েরিতে লেনদেনের নানা হিসাব উল্লেখিত রয়েছে রোজভ্যালির। গোপন কুঠুরি থেকে সেই ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেই ডায়েরি ব্যবহার করতেন গৌতম কুণ্ডু নিজেই। সেখানেই নানা জায়গায় ও নানা প্রভাবশালীকে টাকা বিলানোর হিসাব রয়েছে।
এর পাশাপাশি যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়েছে সেটি থেকেও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, সেই ফোনটি একমাত্র গৌতম কুণ্ডু ব্যবহার করতেন বাছা বাছা কিছু প্রভাবশালীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। সেই ফোনে লেনদেন নিয়ে নানা কথাও হয়েছে।
কোন কোন প্রভাবশালীদের সঙ্গে গৌতম কুণ্ডু কথা বলেছেন তার একটি তালিকাও তৈরি করেছে সিবিআই। তবে তার আগে মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সেটিতে কার কার গলা রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার পরই নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের তালিকা তৈরি করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ওই গোপন মোবাইল ফোন দিয়ে গৌতম কুণ্ডু তাপস পাল সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তবে যেহেতু প্রত্যেকেই প্রভাবশালী বলে সিবিআইয়ের অনুমান তাই আগে থেকে নিশ্চিত না হয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে চাইছে না সিবিআই। মোবাইলের কথোপকথনের ফরেনসিক রিপোর্ট সামনে এলে তবেই তারপরের পদক্ষেপ ঠিক করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।