গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে ২ আইপিএস-সহ ৮ পুলিশ আধিকারিককে তলব! সিবিআই-এর নিশানায় একাধিক জেলার শীর্ষকর্তা
রাজ্যে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তের জাল গুটাচ্ছে সিবিআই (cbi)। যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশির পর এবার রাজ্যের দুই আইপিএস-সহ আট পুলিশ আধিকারিককে (police officer) তলব করা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের সেখানে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
শীতে বাধা দুই 'ভিলেন'! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিস্থিতি একনজরে

ইনস্পেক্টর ও ডিএসপি পদমর্যাদার ছয় অফিসারকে তলব
কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর ও ডিএসপি পদমর্যাদার ছয় অফিসারকে তলব করা হয়েছে। এদিনই তাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। সিবিআই সূত্রের দাবি, এইসব পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্তদের যোগসাজস রয়েছে।

তালিকায় রয়েছেন আরও
সিবিআই সূত্রে খবর এই তালিকায় রয়েছে বর্তমানে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়ার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা। সিবিআই তদন্তে এইসব পুলিশ কর্তাদের নাম উঠে এসেছে বলেই দাবি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এঁদেরও তলব করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই দুই আইপিএসকেও তলব করা হয়েছে। এই দুই আইপিএসের মধ্যে একজন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন পুলিশ সুপার অন্যজন মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন।

এখনও নিখোঁজ অনুপ মাঝি, বিনয় মিশ্র
কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে দুই বড় মাথা অনুপ মাঝি এবং বিনয় মিশ্রের সন্ধান এখনও পায়নি সিবিআই। ৩১ ডিসেম্বর যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের রাসবিহারী এভিনিউ এবং আরও দুই জায়গার বাড়ি ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাকে না পাওয়া যাওয়ায় সিবিআই-এর তরফে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়। নানা গিয়েছে, বিনয় মিশ্র শেষবারের মতো দেশ ছেড়েছিলেন গত সেপ্টেম্বরে। সিবিআই-এর দাবি, সাক্ষীদের জেরা করেই বিনয় মিশ্রের নাম উঠে এসেছে। ওই একইদিনে সিবিআই কয়লা পাচার কাণ্ডে হুগলির কোন্নগরে দুই ব্যবসায়ী অমিত সিং এবং নবীন সিং-এর বাড়িতে হানা দেয়। এই দুই ব্যবসায়ী হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করতেন বলে অভিযোগ।

এর আগেও গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই নোটিশ
এর আগেও তরফে গরু পাচার কাণ্ডে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। এক ডিআইজি-সহ ৪ বিএসএফ আধিকারিককে নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদেরকেও নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এই তালিকায় ছিলেন দুজন অ্যাস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট এবং একজন ডেপুটি কমান্ডান্ট। গরু পাচার কাণ্ডে বিএসএফ-এর এইসব আধিকারিকের নামও উঠে এসেছিল বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত এনামূল হক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। অন্যদিকে বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারও সিবিআই হেফাজতে। এদের জিজ্ঞাসা করেই সিবিআই তথ্য পেতে শুরু করেছে। গরু পাচার কাণ্ডে সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় সিবিআই আধিকারিকরা সল্টলেক সিটিসেন্টার টুতে বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের বাড়ি সিল করে দিয়েছিলেন। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
