পিএনবিকাণ্ডে তদন্তের সঙ্গে চিটফান্ড তদন্তেও গতি! 'সুমঙ্গল'-এর একাধিক অফিসে সিবিআই হানা
পিএনবি প্রতারণা কাণ্ডের তল্লাশির মধ্যেই বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা কাণ্ডে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নথি।
পিএনবি প্রতারণা কাণ্ডের তল্লাশির মধ্যেই বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা কাণ্ডে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা। শুক্রবার সারাদিন ধরেই বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুমঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজের একাধিক অফিসে একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নথি।
সিবিআই-এর একটি বিশেষ দল কলকাতার কর্নফিল্ড রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, হুগলির মগরা এবং উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে রাজ্যের প্রায় ১৩ টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায়।
হুগলির মগরায় বাগদি পাড়ায় সুমঙ্গল চিটফান্ডের কর্ণধার সুব্রত অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০ জনের দল চিটফান্ড কর্তার বাড়িতে যায়। বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে বাজার থেকে কয়েকেশো কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে সুমঙ্গলের বিরুদ্ধে। সিবিআই-এর অভিযোগ, এই কাণ্ডে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীরও খোঁজ মিলেছে।
হুগলির মগরার বাগদি পাড়ার বাড়িতে পাওয়া যায়নি সুমঙ্গল চিটফান্ডের কর্ণধার সুব্রত অধিকারীকে। তাঁর মাকে ডেকে বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। বাড়ির পাশে ব্যাটারি কারখানাতেও হানা দেয় সিবিআই।
বেশ কয়েকবছর আগে অন্য চিটফান্ডগুলি রমরমার সময়েই রমরমা ছিল সুমঙ্গলের। আলুর বন্ডের মাধ্যমে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বাজার থেকে টাকা তুলেছিলেন সুব্রত অধিকারী। এরপর সারদা, রোজভ্যালি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই নজরে আসে সুমঙ্গলের মতো সংস্থাও। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয় সুমঙ্গলের বিরুদ্ধেও।