বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বিকাশ ভবনে CBI! শিক্ষা সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে হঠাত করেই বিকাশ ভবনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আজ বুধবার আচমকাই সল্টলেকের বিকাশ ভবনে পৌঁছে যান আধিকারিকরা। দুই সদস্যের আধিকারিক শিক্ষা দফতরের প্রধান কার্যালয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। সেই সময়ে
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে হঠাত করেই বিকাশ ভবনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আজ বুধবার আচমকাই সল্টলেকের বিকাশ ভবনে পৌঁছে যান আধিকারিকরা। দুই সদস্যের আধিকারিক শিক্ষা দফতরের প্রধান কার্যালয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। সেই সময়ে বিকাশ ভবনে কাজ করছিলেন শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। বিকাশ ভবনে পৌঁছেই সোজা ছয় তলায় শিক্ষা সচিবের ঘরে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা।
বেশ কিছুক্ষণ তদন্তকারীরা সেখানেই ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, শিক্ষা সচিবকে একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন সিবিআই আধিকারিকরা করেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু নথিও তদন্তকারীরা সংগ্রহ করেন বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে কিছু বলা হয়নি। এমনকি স্পিকটি নট বিকাশ ভবনের আধিকারিকরাও। একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। এমনকি নতুন করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নতুন তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
এমনকি গত কয়েকদিন আগে মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলকে জেরা করেন তদন্তকারী সংস্থা। তিনি বলেছেন, ২১ কোটি টাকার হিসেব তিনি দিয়েছিলেন। তাপস মণ্ডল বলেছেন, ছাত্র পিছু ৫ হাজার টাকা করে তিনি মানিক ভট্টাচার্যকে দিয়েছিলেন। তবে তার জন্য কোনও রসিদ তিনি পাননি।
শুধু তাই নয়, , ডিইএলএড কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। মানিক ভট্টাচার্য লোক পাছিয়ে টাকা সংগ্রহ করতেন বলেই দাবি তাপস মণ্ডলের।
আর এরপরেই বুধবার আচমকাই সল্টলেকের বিকাশ ভবনে পৌঁছে যান আধিকারিকরা। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এই সমস্ত বিষয়ে হয়তো শিক্ষা সচিবকে জিজ্ঞেস করতে পারেন আধিকারিকরা। বলে রাখা প্রয়োজন, গত বছর বিকাশ ভবনে একই ভাবে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময়ে ব্রাত্য বসুর ঘরের সামনেই একটি ঘরে হানা দিয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। এমনকি সেখান থেকে কম্পিউটার ও বিভিন্ন নথিপত্র সিবিআই সংগ্রহ করে বলে খবর।