‘সাংসদ’ শুভেন্দুর অফিসে হানা সিবিআইয়ের, নারদে নয়া পদক্ষেপ নিলেন গোয়েন্দারা
২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল তিনি শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার দৃশ্য স্টিং অপারেশন করেছিলেন এই অফিস থেকেই। সেই কারণেই সিবিআই জেরা পর্ব মিটিয়ে সটান হাজির হলদিয়ায শুভেন্দুর তৎকালীন কার্যালয়ে।
মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেওয়ার পর এবার পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হলদিয়ার অফিসে হানা দিল সিবিআই। নারদকাণ্ডের তদন্তে নেমে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেইমতো শুভেন্দুর পুরনো কার্যালয়ে গিয়ে সিবিআই-এর তদন্তকারী দল অভিযান চালায়। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ শুভেন্দুর অফিসে যায় সিবিআই, তারপর দিনভর তল্লাশি চলে।
এই অফিসেই নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলস হাজির হয়েছিলেন টাকার বান্ডিল নিয়ে। ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল তিনি শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার দৃশ্য স্টিং অপারেশন করেছিলেন এই অফিস থেকেই। সেই কারণেই সিবিআই জেরা পর্ব মিটিয়ে সটান হাজির হলদিয়ায শুভেন্দুর তৎকালীন কার্যালয়ে। সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন কোথায় বসে শুভেন্দু টাকা নিয়েছিলেন। সেই জায়গায় ছবিও তোলেন। গোটা অফিসটির ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়।
সিবিআই চাইছে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজটির সঙ্গে সিবিআই-এর করা ভিডিও ফুটেজটি মিলিয়ে দেখতে। সেইমতো রিপোর্ট তৈরি করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরই তা আদালতে পেশ করা হবে। এদিন হলদিয়ায় যে অফিসে অভিযান চালানো হল, সেটি বর্তমানে শুভেন্দু ভাই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর অফিস। নারদ স্টিং অপারেশনের সময় শুভেন্দু ছিলেন সাংসদ। ওই অফিসটিতে তথন বসতেন শুভেন্দুই।
পুজো মিটতেই তদন্তের দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনর্নির্মাণ করার কাজ শুরু করেছে সিবিআই। সেইমতো মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে আর সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের খানাকুলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। বাকি অভিযুক্তদেরও অফিসে ও বাড়িতে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হবে। আদালতে আবেদন জানানোর পর তা মঞ্জুর হতেই তদন্তের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পুনর্নির্মাণের এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই রিপোর্ট জমা পড়বে হাইকোর্টে। তার আগে নারদ তদন্তে নাম উঠে আসা এক রাজ্যসভার সাংসদ ও অন্যান্যদের জেরা করে ফেলতে চাইছেন আধিকারিকরা। উল্লেখ্য ওই রাজ্যসভার সাংসদে নাম নেই অভিযোগে। তাঁকে ভিডিও ফুটেজেও দেখা যায়নি।