হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে পাল্টা চাপে বিজেপি, সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ সিবিআইয়ের
হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে পাল্টা চাপে বিজেপি, সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ সিবিআইয়ের
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে এবার উল্টো চাপে বিজেপি। নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে ফেলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানাল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টে এই আর্জি জানিয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে সিবিআই। হাঁসখালি কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দিযে আদালতে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারীকরা।
সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি
হাঁসখালি গণধর্ষণ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেখানে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের বাড়িতেও গিেয়ছি বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। তার রিপোর্ট বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে জমা দেন তাঁরা। সেই রিপোর্টে নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। এমনকী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও প্রকাশ্যে হাঁসখালির নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করেন। সেই ঘটনা জানার পরেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। েসই সঙ্গে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। আদালত প্রথম থেকেই জানিয়েছিল নির্যািততার পরিচয় কোনও ভাবেই প্রকাশ্যে আনা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ মে।
আদালতে রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের
হাঁসখালির ঘটনার রিপোর্ট আদালতে জমা দিল সিবিআই। তাতে জানানো হয়েছে ফরেন্সিক রিপোর্টের কিছু অংশ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। তার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবং আদালতে এই রিপোর্ট প্রকাশ না করার আর্জিও জানানো হয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা মামলাটি নদিয়া থেকে কলকাতায় স্থানান্তরের আর্জি জানিয়েছে। যদিও আদালত তার কারণ জানতে চেয়েছে সিবিআই.ের কাছে।
নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার নির্দেশ
এদিন মামলার শুনানির সময়ে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্যাতিতার পরিবারের মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। মৃতার পরিবারের পাশাপাশি সাক্ষীদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এর আগে হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতে। তারপরেই এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
ভাদু শেখের খুনের মামলায় শুনানি
এদিন হাঁসখালির ঘটনার পাশাপাশি ভাদু শেখের খুন এবং বগটুই কাণ্ডেরও শুনানি হয়েছে হাইকোর্টে। ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় ২ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করা নিয়েও প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছে। নিম্ন আদালতে কেস ডায়রি জমা না দেওয়ার পরেও কীভাবে অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বগটুই কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হয়ে গিয়েছে।
বাবুলের শপথ-জট কাটাতে আসরে অধ্যক্ষ-পরিষদীয় মন্ত্রী, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠক