নারদকাণ্ডে মুকুল-যোগ নিয়ে এবার 'পুনর্নির্মান'! অপেক্ষায় সিবিআই
নারদ কাণ্ডে ফুটেজে দেখানো ২ জনের ক্ষেত্রে এখনও পুনর্নির্মাণ করে উঠতে পারেনি সিবিআই। এই দুজন হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। দুজনের ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে সিবিআই।
নারদ কাণ্ডে ফুটেজে দেখানো ২ জনের ক্ষেত্রে এখনও পুনর্নির্মাণ করে উঠতে পারেনি সিবিআই। এই দুজন হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। দুজনের ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত কি শাসক শিবিরেই ঋতব্রত, জন্মদিনে টুইটার পোস্ট ঘিরে জল্পনা]
নারদ কাণ্ডে দ্বিতীয় দফার তদন্ত শেষ করতে এখনও দুজনের ক্ষেত্রে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে পারেনি সিবিআই। এই দুজন হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচিত আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। আইপিএস মির্জার ক্ষেত্রে তৎকালীন বর্ধমান জেলার এসপির অফিসে যেতে নবান্নের অনুমতি চেয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিবিআই।
এদিকে, নারদ কাণ্ডে বাকি ১০ অভিযুক্তের ক্ষেত্রে ঘটনার একদফা পুনর্নির্মাণ করেছে সিবিআই। নারদের ফুটেজ এবং পুনর্নির্মাণের ফুটেজ মিলিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছিল ফরেনসিক ল্যাবে। সেখানকার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, দুটি ক্ষেত্রে ফুটেজে দেখানো জায়গা এবং পুননির্মাণের জায়গার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই দুজনের ক্ষেত্রে আবার পুনর্নির্মাণের জন্য যেতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
নারদ কাণ্ডে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ শুভাশিস দাস ও দিলীপ সাহা। শুভাশিস দাস সম্পর্কে মেয়রের শ্যালকও বটে। তাঁদের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি এবং ব্যাঙ্কের নথি আনতে বলা হয়েছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় দুজনেই জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলায়, কিছুই বলবেন না তাঁরা। সূত্রের খবর নথি মিলিয়ে দেখার পর ফের তলব করা হতে পারে এই দুজনকে।
নারদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে সিবিআই এবং ইডি। মেয়রের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি হাজিরা দেননি। তবে এবার ফের তলব করা হতে পারে মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে।