রাতেই সিবিআই জেরার মুখে চার এসএসসি উপদেষ্টা, নিজাম প্যালেসে গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা
রাতেই সিবিআই জেরার মুখে চার এসএসসি উপদেষ্টা, নিজাম প্যালেসে গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় টানাপোড়েন চরমে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাতিই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হল এসএসসিরচার উপদেষ্টােক। আজই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। কাজেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রয়েছে। আগেই তিনি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার হাইকোরটে চার উপদেষ্টা কোনও রক্ষাকবচও পাননি। কাজেই গ্রেফতারির আশঙ্কা নিয়েই তাঁরা নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন। পুলিশ তাঁদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টে তুমুল তরজা তৈরি হয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে বারবার নিষেধাজ্ঞা বহাল করা ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই তিনি সোজা সুপ্রিক কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে এই নিয়ে নালিশ ঠুকেছিলেন। তারপরেই সোমবার মামলার শুনানির সময় এসএসসি মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। জার জেরে সিঙ্গলবেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হয়।
সিঙ্গলবেঞ্চের নির্দেশ মেনেই সোমবার সন্ধেবেলা এসএসসির চার উপদেষ্টাকে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালসে নিয়ে যায় পুলিশ। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত হাইপাওয়ার কমিিটতে ছিলেন তাঁরা। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বারবারই তাঁদের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের সুপারিশেই একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁদের জেরা করা হচ্ছে তাঁরা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সচিব এস আচার্য, শিক্ষা দফতরের তৎকালীন ওএসডি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল শিক্ষা দফতরের তৎকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক কুমার সরকার ও দফতরের ল অফিসার টি পাঁজা ।
বিধাননগর পুলিশ এবং ডিসি সেন্ট্রাল শুভঙ্কর ভট্টাচার্য তাঁদের দফতরে নিয়ে আসেন। যদিও এই প্রথম নয় এর আগেও িসবআই তলব করা হয়েছিল তাঁদের কিন্তু সেসসময় তাঁরা হাজিরা দেননি। হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর সেটা হাতে পাননি তাঁরা। এসএসসির বিরুদ্ধে ৯৮ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মামলার প্রথম থেকেই এই নিয়ে প্রবল রুষ্ট ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার পাশাপাশি হাই পাওয়ার কমিটির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।