
এনামুলকে চিনি না, কোনও আর্থিক লেনদেনও হয়নি! পাঁচ ঘন্টা জেরা শেষে দাবি দেবের
এনামুল হোককে চিনি না। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন অভিনেতা দেব। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে আজ মঙ্গলবার সকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন সাংসদ। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

আর সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন দেব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এনামুলকে চিনি না। এমনকি তাঁর কাছ থেকে কোনও দিন উপহার পর্যন্ত নেননি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তাও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে কয়লা এবং গরু পাচার-কান্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ইতিমধ্যে গরু পাচার কান্ডের তদন্তে নেমে একাধিক প্রভাবশালীকে জেরা করে সিবিআই। এমনকি তৃণমূলেরও বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। তদন্তে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তেমন ভাবেই সাক্ষীদের বয়ানেই উঠে আসে দেবের নাম। শোনা যায়, গরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুলের কাছ থেকে বেশ কছু দামি উপহার নিয়েছেন নাকি দেব। এমনকি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বেশ কিছু জল্পনা সামনে আসে। আর সে বিষয়ে জানতেই দেবকে আজ মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয়।
সেই মতো সকাল বেলা এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন অভিনেতা। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। জানা যায়, এনামুলকে দেব চেনেন কিনা সে বিষয়েই মুলত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিনেতাকে। এমনকি কোনও লেনদেন হয়েছে কিনা তাও জেরা করে দেবের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। জানা যায়, দু'দফায় এদিন সাংসদকে জেরা করা হয়। সকালে এক দফায় জেরা করা হয় দেবকে। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম দেওয়া হয়। এরপর ফের তাঁকে জেরা করা হয়। তাঁর বক্তব্য সবটাই রেকর্ড করা হয়। এমনটাই সিবিআই সুত্রের খবর। তবে নতুন করে আর সিবিআইয়ের তরফে ডাকা হয়নি বলেই খবর।
তবে জানা যাচ্ছে, এদিনের দেব যে বয়ান দিয়েছেন তা মিলিয়ে দেখা হবে। সাক্ষীদের বয়ানের সঙ্গেই তা মিলিয়ে দেখা হবে। কোথাও কোনও ফাউল প্লে আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। এমনটাই সিবিআই সুত্রের খবর। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তেমন কিচু বলতে নারাজ তদন্তকারীরা আধিকারিকরা।
অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও তলব করেছে সিবিআই। গতকাল অর্থাৎ ১৪ তারিখ এই মামলায় কেষ্টাকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারন দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে আগামী ২৫ তারিখ ফের তাঁকে হাজিরা হওয়ার জন্যে জানানো হয়েছে। এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে।