নিয়োগ দুর্নীতির নাটের গুরু সুবীরেশ, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ মামলায় চার্জশিট সিবিআইয়ের
নিয়োগ দুর্নীতির নাটের গুরু সুবীরেশ, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ মামলায় চার্জশিট সিবিআইয়ের
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিল সিবিআই। নবম এবং দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে দুর্নীতির মূলপাণ্ডা হিসেবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অশোক সাহা, এসপি সিনহার নাম উল্লেখ করা হয়েছেও। এসএসসির অফিসে বসেই ভুয়ো নিয়োগ পত্র তৈরি করা হত বলে চার্জশিটে জানিয়েছে সিবিআই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিট
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। নবম এবং দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাতে শিক্ষা দফতরের একাধিক তাবর অফিসারের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। সুবীরেশ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে এসপি সিনহা, অশোক সাহা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের একাধিক আধিকারীকের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। তাঁরা পরিকল্পনা করে এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।
নাটের গুরু সুবীরেশ
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মূল পাণ্ডা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সুবীরেশকে এই কাজে সাহায্য করত শান্তি প্রসাদ সিনহা, অশোক সাহারা। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ফাঁকা আচার্য ভবনে এই দুর্নীতি চালাতেন তাঁরা। এসএসএসির অফিসে বসেই ভুয়ো নিয়োগপত্র ছাপানো হত। তৎকালীন এসএসসি চেয়ারম্যানের উপর যাতে দায় চাপে তার জন্য এসএসসি ভবনকে কাজে লাগাতেন তাঁরা। একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনা করেই েই নিয়োগ দুর্নীতির জাল বিছিয়ে ছিলেন সুবীরেশ ও তার সহযোগীরা। চার্জশিটে এমনই উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা।
ওএমআর শিটের সিডি গায়েব
তদন্তকারীরা চার্জশিটে জানিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা ওএমআর শিটের সিডি স্ক্যান করে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে জমা দিয়েছিলেন। সুবীরেশ সেই সিডি প্রোগ্রামিং অফিসার পর্ণা বসুকে জমা দেন। কিন্তু সিবিআই তদন্তকারীরা সেই সিডির খোঁজ পাননি। ২০১৬ সালের নবম এবং দশম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্রে ভুল থাকার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্নপত্র রিভিউ করা হয়। তারপরে সংশোধিত উত্তর পত্র আর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে দেননি সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তিনিই বাধা দিয়েছিলেন।
সুবীরেশের নির্দেশেই ধামা চাপা দেওয়া চেষ্টা
সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নির্দেশেই রিভিউর পর হাতে লেখা ফলাফল ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল। কোনও রকম কম্পিউটার নথি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। সেই হাতে লেখা ফলাফলে শুধু মাত্র চাকরি প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল বাকি চাকরি প্রার্থীরা কী নম্বর পেয়েছেন সেটা সেখার সুযোগ তাঁদের ছিল না। দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই এই কাজ করা হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নির্দেশে।
নভেম্বরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন! CAA-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাতের ইঙ্গিত