গরু পাচারকাণ্ডে যুব তৃণমূল নেতার খোঁজে তৎপর সিবিআই ! লুকআউট নোটিশের পর এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা
গরু পাচারকাণ্ডে যুব তৃণমূল নেতার খোঁজে তৎপর সিবিআই ! লুকআউট নোটিশের পর এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা
গরু পাচার কাণ্ডে কোমর কষছে সিবিআই (cbi) । বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিতে যুব তৃণমূল (trinamool mcongress) নেতা বিনয় মিশ্রকে (vinay mishra) না পাওয়ার পরে লুকআউট নোটিশ জারি করেছিল সিবিআই। এবার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে পরিচয় বিনয় মিশ্রের। গতবছরে তাঁকে যুব তৃণমূলের পদ দেওয়া হয়। সম্প্রতি জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তিন কনস্টেবলকে বিনয় মিশ্রের নিরাপত্তা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এহেন বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধেই এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সিবিআই সূত্রের দাবি, বিনয় মিশ্রকে ধরতে পারলে গরু পাচারের পাশাপাশি কয়লা পাচার সম্পর্কে তাঁর থেকে অনেক খবর পাওয়া যাবে।
বিনয় কোথায় জানে না পরিবার
একই মাসে একাধিকবার তল্লাশি যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বাড়িতে। এমাসের শুরুর দিকে রায়বিহারী এভিনিউ ছাড়াও লেকটাউন-সহ কলকাতায় তার তিনটি আস্তানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। কম্পিউটার হার্ডডিস্ক-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবারও সিবিআই তার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু বিনয় মিশ্রের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সিবিআই সূত্রে খবর বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, বিনয় সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না।
সিবিআই জেরায় ভাইও
সোমবার
নিজাম
প্যালেসে
বিনয়
মিশ্রের
ভাই
বিকাশ
মিশ্রকে
ডেকে
জিজ্ঞাসাবাদ
করেন
সিবিআই
আধিকারিকরা।
জিজ্ঞাসাবাদে
একাধিক
প্রশ্ন
উঠে
আসে।
দাদা
কোথায়,
শেষ
কবে
দেখা
হয়েছিল,
শেষ
করে
কথা
হয়েছিল,
দেশে
আছেন
না
দেশের
বাইরে
আছেন,
কোন
ফোন
নম্বর
ব্যবহার
করছেন,
এইসব
প্রশ্ন
করা
হয়।
এর
আগে
গত
সপ্তাহেও
তাঁকে
বেশ
কয়েকঘন্টা
জিজ্ঞাসাবাদ
করেছিল।
সিবিআই-এর
দাবি
বিকাশ
মিশ্র
দাদা
বিনয়
মিশ্রের
ব্যবসা
সম্পর্কে
যথেষ্টই
ওয়াকিবহাল।
রাজ্য জুড়ে সিবিআই তল্লাশি
বিনয়
মিশ্রের
বিরুদ্ধে
লুকআউট
নোটিশ
জারির
পরে
১৯
জানুয়ারি
আরও
একবার
সমন
পাঠানো
হয়েছিল।
কিন্তু
তিনি
হাজিরা
দেননি।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
বিনয়
মিশ্র
নাকি
তিনটি
পাসপোর্ট
ব্যবহার
করছেন।
একটি
ভারতের,
একটি
দুবাইয়ের
এবং
একটি
বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের
পাসপোর্ট
নিয়ে
তিনি
নাকি
এইমাসের
একবার
ভারতেও
এসেছিলেন।
এদিকে
গরু
পাচার
কাণ্ডে
সিবিআই
বুধবার
তৃণমূল
নেতা
বারিক
বিশ্বাসের
বাড়িতে
তল্লাশি
চালায়।
বসিরহাট
এলাকায়
তাঁকে
বারিক
বিশ্বাস
নামেই
চেনে।
সোমবার
সিবিআই
আধিকারিকরা
বর্তমানে
পুরুলিয়ার
রঘুনাথপুর
থানার
আইসি
সঞ্জয়
চক্রবর্তীকেও
জিজ্ঞাসাবাদ
করেন।
তিনি
একটা
সময়ে
মুর্শিদাবাদের
রঘুনাথগঞ্জ
কর্মরত
ছিলেন।
খাটে উঠেছে তৃণমূল, হরিবোল ছাড়া গতি নেই! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর