শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী'র সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ সিবিআই! সকালেই সম্ভবত ডিভিশন বেঞ্চে পরেশ
যোগাযোগ করা যাচ্ছে না রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর সঙ্গে। রাত আটটার মধ্যেই নিজাম প্যালেসে রাজ্যের মন্ত্রীকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে একাধিকবার ফোন করেন বলে জ
যোগাযোগ করা যাচ্ছে না রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর সঙ্গে। রাত আটটার মধ্যেই নিজাম প্যালেসে রাজ্যের মন্ত্রীকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে একাধিকবার ফোন করেন বলে জানা যাচ্ছে।
পৌনে আটটা থেকে অন্তত তিনবার পরেশ অধিকারীর ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কিন্তু প্রতি বারেই মন্ত্রীর ফোন সুইচ অফ পেয়েছেন বলে জানা যায়।
আর এরপরেই মন্ত্রীর ব্যক্তিগত ইমেলে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ অর্থাৎ নোটিশ সিবিআইয়ের তরফে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসএমএসের মাধ্যমেও এই বিষয়ে পরেশ অধিকারীকে জানানো হয়েছে বলে খবর। কিন্তু হাইকোর্টের নির্ধারিত বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও মন্ত্রীর তরফে কোনও তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকি আইনজীবী পাঠিয়েও সময় চেয়ে নেননি মন্ত্রী। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।
আর এহেন আইনজীবীদের একাংশের মতে, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর এহেন আচরণ আদালত অবমাননা। অনলাইন বা আইনজীবী মারফৎ সিবিআইয়ের সঙ্গে মন্ত্রী যোগাযোগ করতেই পারতেন বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। যদিও এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এহেন নির্দেশের পরেই মেয়েকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন তিনি। যদিও আদালতের নির্দেশের পরেই দুপুরে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই বিষয়ে কিছু জানা নেই।
তবে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে জানিয়েছেন, এখনও আদালতের কপি পাইনি। তবে অবশ্যই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন। ফলে নতুন করে আইনি লড়াই দেখবে রাজ্যের মানুষ। এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীরা। সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন মন্ত্রী।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম স্কুল শিক্ষক নিয়োগেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এলো। যেখানে সরাসরি রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে হাই কোর্ট। নিয়োগের তালিকায় থাকা অন্য প্রার্থীকে সরিয়ে মন্ত্রীর মেয়ের নাম রয়েছে।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই মামলাতেই রাত আটটার মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রীকে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।