অনুব্রত মণ্ডলের দুই ঘনিষ্ঠকে তলব সিবিআইয়ের, নিরাপত্তারক্ষীর গ্রেফতারির পর বাড়ল চাপ
অনুব্রত মণ্ডলের দুই ঘনিষ্ঠকে তলব সিবিআইয়ের, নিরাপত্তারক্ষীর গ্রেফতারির পর বাড়ল চাপ
অনুব্রত মণ্ডলের দুই ঘনিষ্ঠ নেতাকে এবার তলব করল সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে গ্রেফতারের পর তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকে তলব করা তাৎপর্যপূর্ণ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে। শুক্রবার তাঁদের ডেকে পাঠানো হয় দুর্গাপুরের এনআইটিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে।
অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ যে দুজন নেতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁরা হলেন, সুব্রত ভট্টাচার্য ও জটিল মণ্ডল। তাদের মধ্যে সুব্রত ভট্টাচার্যকে ডাকা হয়েছিল এ মাসের শুরুর দিকে। প্রথম জন নানুরের এবং দ্বিতীয় জন ময়ূরেশ্বরের ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার প্রথম তলব করা হয়েছে ময়ূরেশ্বরের নেতা জটিল মণ্ডলকে।
জটিল মণ্ডলের দাবি তাঁদের ডেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও নানুরের নেতা সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। কেন ডাক হয়েছে, তা তিনি জানেন না। এভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ নেতাদের বারবার তলব করা হচ্ছে। আবার বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে। ধৃত দেহরক্ষীর নাম সায়গল হোসেন।
বৃহস্পতিবার তাঁকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে তাঁজে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এদিন অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকে তলব করা হয় ভোট পরবর্তী হিংসা কাণ্ডে। অর্থাৎ দুই মামলাই সমান্তরালভাবে চালিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে চাপে রাখছে সিবিআই। তাই একটি মামলায় দেহরক্ষীকে গ্রেফতারের পরই অন্য মামলায় দই ঘনিষ্ঠকে তলব করা হল।
উল্লেখ্য, এর আগে গরু পাচার-কাণ্ডে চার বার জেরা করা হয়েছে সায়গল হোসনকে। বৃহস্পতিবার জেরায় তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি পায় সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তরপরই তাঁকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করা হয়। অনুব্রত মণ্ডলের বিলাসবহুল বাড়ি। এখন সেই বাড়ি জনশূন্য হয়ে রয়েছে। বিরাট নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। নিরাপত্তারক্ষীর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের রমনা এতবার নগরে।
শুধু বাড়ি নয়, তিনি মুর্শিদাবাদে একাধিক জায়গা কিনেছিলেন। তা বাড়ি, গাড়ি ছিল অজস্র। বেনামে বেশিরভাগ সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন তিনি। কী করে তিনি এত সম্পত্তি করলেন, তার সদু্ত্তর দিকে পারেননি সায়গল। তাই তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি পেয়ে গ্রেফতারের রাস্তায় হাঁটে সিবিআই। সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে গরু পাচার চক্র ও টাকার উৎস ও লেনদেনের বিষয়ে জানার চেষ্টা চালাবে সিবিআই।
WB Police Constable Recruitment: কনস্টেবল পদে ব্যাপক নিয়োগ পুলিশে, মাধ্যমিক পাশে করুন আবেদন