জুনিয়র মৃধা খুনে গ্রেফতার বান্ধবী! ঘটনার নয় বছর পরে সিবিআই-এর জালে মোহনবাগান কর্তার প্রাক্তন পুত্রবধূ
শেষ পর্যন্ত জট খুলল সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা খুনের। ঘটনার প্রায় নয় বছর পর সোমবার জুনিয়রের বান্ধবী প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী ওরফে মুনকে গ্রেফতার করে সিবিআই (cbi)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আটঘন্টা জেরার পরে অসঙ্গতি মেলায় সি
শেষ পর্যন্ত জট খুলল সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা খুনের। ঘটনার প্রায় নয় বছর পর সোমবার জুনিয়রের বান্ধবী প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী ওরফে মুনকে গ্রেফতার করে সিবিআই (cbi)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আটঘন্টা জেরার পরে অসঙ্গতি মেলায় সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেফতার (arrest)করে। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
কোন পথে মানুষের মন জয়, উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনেই নির্দেশ অভিষেকের
২০১১-র ১২ জুলাই খুনের ঘটনা
২০১১ সালের ১২ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে খুন করা হয়েছিল জুনিয়র মৃধাকে। দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে এয়ারপোর্টগামী লেনে পড়েছিল জুনিয়রের দেহ। বরাহনগর থানার পুলিশ প্রথমে দেহ উদ্ধারের পর মনে করেছিল কোনও গাড়ির ধাক্কাকেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। কিন্তু ময়নাতদন্তের পরে বেরিয়ে আসে আসল চিত্র। পাথার পিছনে বুলেটের ক্ষত। জানা যায়, গুলি করার পরে, তাঁকে গাড়ির ধাক্কা মারা হয়েছিল। সেই সময় এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য।
হাইকোর্ট থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করার পরেও খুব একটা এগোতে পারেনি বরাহনগর থানার পুলিশ। সিআইডিও তদন্ত সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। চারবার তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তন করেছিল সিআইডি। ঘটনার দুবছর পরেও পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরপর জুনিয়রের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নাম জড়ায় মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা বলরাম চৌধুরীর
এই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পরে মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা বলরাম চৌধুরীর। কেননা সেই সময়ে তাঁর পুত্রবধু প্রিয়ঙ্কা ওরফে মুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন জুনিয়র মৃধা। মধ্যে ছিলেন টলিউডের প্রযোজক প্রতীক শর্মা। প্রিয়ঙ্কা ও প্রতীকের পলিগ্রাফি টেস্টও করা হয় বলে সূত্রের খবর। সিআইডি তদন্তের পর জানা গিয়েছিল, খুনের দিন রাতে মুন ও প্রতীক শতাধিকবার ফোনে কথা বলেছিলেন। তবে প্রতীক দাবি করেছিলেন, মুন তাঁকে বলেছিলেন এক বন্ধুর মৃত্যুর কথা। প্রতীক মুনকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন।
ত্রিকোণ প্রেমের পরিণতিতে খুন
অন্যদিকে জুনিয়র মৃধার বাবা সমরেশ মৃধা দাবি করেছিলেন, মুন ও প্রতীকের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল মুন। যার জেরেই এই খুন। জানা যায়, মুন ছিলেন জুনিয়রের সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রেন্ড। আর খুনের দিন জুনিয়রের সঙ্গে মুনের অন্তত ১৪ বার কথা হয়েছিল। খুনের দিনই জুনিয়র মুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলেও সিসিটিভি থেকে জানা গিয়েছিল।