রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে চায় সিবিআই! এক্তিয়ার খতিয়ে দেখে রায়দান আদালতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনের আগে আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী যশোদা বেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেন।
রাজীব কুমার সিনিয়র পুলিশ অফিসার কিন্তু আইনভঙ্গকারী। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। এই মর্মেই বারাসত আদালতে রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের আবেদন করলেন সিবিআইরে আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, রাজীব কুমার তদন্তে প্রভাবিত করতে পারেন। তার উপর তিনি সহযোগিতা করছেন না তদন্তে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করতে চায় সিবিআই।
বিচারক এই মামলার শুনানি শেষ করলেও রায়দান খানিকক্ষণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সিবিআইয়ের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, সিবিআইয়ের এই এক্তিয়ার আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। তাই জেলা জজ শুনানির পর সময় নেন রায়দানের জন্য।
এদিকে রাজীব কুমারের আইনজীবী বলেন, একটা চার্জশিটেও রাজীব কুমারের নাম ছিল না। এতদিন তিনি ছিলেন শুধুই একজন সাক্ষী। চারদিনের মধ্যে কী এমন হল তিনি সাক্ষী থেকে অভিযুক্ত হয়ে গেলেন। আসলে পরিকল্পনা করে রাজীব কুমারকে ফাঁসানো হচ্ছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাজীব কুমার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। অথচ রাজীব কুমারকে শিলংয়ে টানা ৪০ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল বলে জানান তাঁর আইনজীবী। তার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই অধিকর্তা বলেন, তখনও সে অর্থে সহযোগিতা করেননি রাজীবকুমার। রাজীব কুমারের আইনজীবী আদালতে জানান, রাজীব কুমারের কাছে যা তথ্য ছিল, সমস্ত পেশ করা হয়েছে, যা জানা ছিল সব বলেছেন, আর কী করে তিনি সহযোগিতা করতে পারেন।
[মোদীর স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলার উপহার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মমতার! জল্পনা তুঙ্গে]
এরপরই সিবিআই জানায়, রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে চায় তাঁরা। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েই জেরা করা হবে। তার কারণ রাজীব কুমার একজন প্রভাবশালী, তিনি বাইরে থাকা মানে তদন্তে প্রভাবিত করতে পারেন। এতদিন তিনি সারদা মামলায় অনেক অসহযোগিতা করেছেন, আর তা মানতে নারাজ সিবিআই আধিকারিকরা।
[ দিদিমণি, এমন ভুলটি আর করবেন না, পস্তাতে হবে! মমতাকে সাবধান করলেন দিলীপ]