বিধানসভার আসনে বিরোধী শূন্য করে জয় আসবে! অনুব্রতকেই উপায় বাতলে দিলেন বুথ সভাপতি
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে বুথে বুথে দলের পরিস্থিতি যাচাই করতে বুথ কমিটির সভায় যোগ দিচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল (trinamool congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mondal)। নিচুতলার অভাব অভিযোগ শুনছ
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে বুথে বুথে দলের পরিস্থিতি যাচাই করতে বুথ কমিটির সভায় যোগ দিচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল (trinamool congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mondal)। নিচুতলার অভাব অভিযোগ শুনছেন। সেরকমই এক সভায় বুথ সভাপতি দাবি করলেন, বিধানসভায় প্রার্থী বদল করতে হবে। না হলে তৃণমূলের ভোট শূন্য হবে।
বঙ্গোপসাগরে ২ নিম্নচাপ, সপ্তাহান্তে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে! উত্তরবঙ্গের জন্য কোন সতর্কতা
বিধানসভায় প্রার্থী বদলের দাবি
বুথ ভিত্তিক সভা। সেই সভাতেই নলহাটির পাইকপাড়া অঞ্চলের বসন্ত গ্রামের বুথ সভাপতি আবুল হাসনাত বলেন, বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বদল না করলে তৃণমূলের ভোট শূন্য হবে। আর প্রার্থী বদল করলে বিরোধীরা শূন্য হবে। প্রসঙ্গত এই বুথেই লোকসভা ভোটের নিরিখে তৃণমূল ২৯৭ ভোটে এগিয়ে। অনুব্রত মণ্ডলের প্রশ্ন ছিল, জয়ে ব্যবধান কি আরও বাড়বে? সেই সময় বুথ সভাপতি তাঁর উত্তর দেন।
বুথ সভাপতির হাত থেকে মাইক্রোফোন কাড়লেন পুরপ্রধান
আবুল হাসনাত স্থানীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই তাঁর হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন নলহাটি পুরসভার প্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং। সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিনি এলাকার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করবেন। অনুরোধ করা ছাড়া তার আর কিছুই করার নেই বলেও জানান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
প্রতিশ্রুতি রাখেননি বিধায়ক, গ্রামেও যাননি
বুথ সভাপতির অভিযোগ, বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তা যেমন তিনি করেননি, আর গ্রামেও যাননি। ফলে এলাকার মানুষ যেমন জনকষ্টে ভুগছেন, ঠিক তেমনই এলাকার রাস্তাঘাটও অনুন্নত।
অনুব্রতের প্রশ্নে মিলছে না সঠিক উত্তর
সভায় অনুব্রত মণ্ডল প্রশ্ন করেন সরকারের কতগুলি প্রকল্প চালু রয়েছে। সেই সময় বুথ সভাপতি সঞ্জয় লেট জানান, ৫৪ টি। ক্ষুব্ধ অনুব্রত মণ্ডল প্রশ্ন করেন, আছে ৬৫ টি প্রকল্প, কেন তিনি ৫৪ টি বলছেন। ব্লক সভাপতির তরফে সরকারি প্রকল্পগুলির নাম ছেপে বিতরণ করার কথা জানানো হয়।
দরজা খোলা বিজেপির জন্য
তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, আগে কর্মীরা জেলা সভাপতি ও অন্য নেতাদের ভয় করতেন। এখন সভায় তাঁরা জোরে কথা বলতে পারছেন। এরপরেই তাঁদের যদি কথা বলায় বাধা দেওয়া হয়, কিংবা দল থেকে বের করে দেওয়া হয়, তাহলে ওইসব নেতার জন্য বিজেপির দরজা খোলা আছে।