প্রার্থী বদলেও বিতর্ক! ভিডিও ফুটেজে অস্বস্তি বিজেপির, পাল্টা মুকুলের বাঙালি-তত্ত্ব
নোয়াপাড়ায় বিজেপির নয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে এবার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি বলছে, এই কাজ তৃণমূলের। আর তৃণমূলের যুক্তি বিজেপির একাংশই এই কাজ করছে।
প্রার্থী বদল করেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিজেপিকে। নোয়াপাড়ায় বিজেপির নয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে এবার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি বলছে, এই কাজ তৃণমূলের। আর তৃণমূলের যুক্তি বিজেপির একাংশই এই কাজ করছে। যদিও ওই ভিডিও ফুটেজকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিজেপির প্রার্থী সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষের শিবিরের এই প্রার্থী আবার পাশে পেয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়কেও। মুকুল রায় বলেছেন, 'এই কেন্দ্রে সিং পরিবারের বিরুদ্ধে বাঙালি ভোটই ফ্যাক্টর। আর তা আছে তাঁদের দিকেই।'
মঞ্জু বসুতে মুখ পুড়িয়ে ব্যারাকপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর তারপরই ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগের একটি ভিডিও ফুটেজকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভিডিও ফুটেজে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কিছু কথা রয়েছে। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপি শিবিরে। যদিও ভিডিও ফুটেজটি পরীক্ষিত নয়। সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 'ওইসবের কোনও গুরুত্ব নেই। আর মানুষই বিরক্তিকর ওইসব মিথ্যার জাল ছড়ানো দেখে। ইভিএম মেশিনেই এর জবাব দেবেন নোয়াপাড়াবাসী।'
মঙ্গলবার রাতে নোয়াপাড়ায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মিসভা করেন মুকুল রায়। সেই কর্মিসভায় মুকুল রায় দাবি করেন, 'নোয়াপাড়া কেন্দ্রে বড় প্রভাব ফেলবে বাংলাভাষী মানুষরাই।' আর তাঁদের সিংহভাগ তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের। তাঁর যুক্তি, 'নোয়াপাড়ায় বাংলা ভাষাভাষি মানুষজন হলেন ৭৫ শতাংশের বেশি। বাকি ২৫ শতাংশের কিছু কম সংখ্যক অন্য ভাষভাষির মানুষ। সেই নিরিখে নোয়াপাড়ায় বিজেপি জেতার মতো জায়গায় রয়েছে।'
এদিন মুকুলবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, 'গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করেছে এই সরকার। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্লোগান তুলে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু তারাই আজ গণতন্ত্রকে পদদলিত করছে। তাঁর নমুনা দেখা গিয়েছে এই নোয়াপাড়াতেই।' মঞ্জু বসুর বি্জেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর বেঁকে বসা প্রসঙ্গেই তাঁর এই অভিমত।
এদিকে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন, 'তিনি নোয়াপাড়া থেকে জিতে চতুর্থ বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় যাবেন। প্রার্থী বিতর্ক কোনও প্রভাবই ফেলবে না। তার কারণ ওটা একবেলার বিষয়।' তবে নোয়াপাড়ায় এখন চর্চা চলছে, 'যে প্রার্থী পুরসভা ভোটে দেড়শো ভোট পান, তিনি কীভাবে বিধানসভায় জয়যুক্ত হবেন।' তবে সেবার ভোট হয়নি বলেই ব্যাখ্যা সন্দীপের। তিনি বলেন, 'এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে।'