'আগে জোটসঙ্গীদের সামলাক, তারপর বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখবে বিজেপি', গর্জে উঠলেন মমতা
অমিত শাহ থেকে দিলীপ ঘোষ সকলেই বাংলাই পরবর্তী টার্গেট বলে জানিয়েছেন। আর এই প্রেক্ষিতেই মমতা গর্জে উঠেছেন কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
২০১৬ বিধানসভা ভোটের পর থেকে যতগুলি ছোট-বড় ভোট গিয়েছে তাতে মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে বাংলায় অঘোষিত বিরোধী দল এখন বিজেপিই। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বিজেপিকে আক্রমণ করার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করছেন না। দলীয় সভা হোক অথবা প্রশাসনিক সভা, বিজেপিকে টার্গেট করেছেন তৃণমূলনেত্রী।
ত্রিপুরায় ভোটে জিতে বাংলাকে টার্গেট করেছে বিজেপি। সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সকলেই বাংলাই পরবর্তী টার্গেট বলে জানিয়েছেন। আর এই প্রেক্ষিতেই মমতা গর্জে উঠেছেন কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি টিডিপি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা থেকে সরে এসেছে। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা না দেওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টিডিপি প্রধান এম চন্দ্রবাবু নাইড়ু। এরগে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গী শিবসেনাও সরকার ও জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।
যা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকে কী হচ্ছে? বিজেপি কি দেখতে পাচ্ছে না? আগে জোটসঙ্গীদের সামলাক। তারপরে বাংলার দিকে নজর করবে।
পাশাপাশি বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মমতা ফের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষদের। বাংলার দিকে চোখ দিলে দিল্লি দখল করবে তৃণমূল। এমনও বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীকে।
বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ফেডেরাল ফ্রন্ট বা তৃতীয় জোট গড়তে মমতা বহুদিন ধরেই উদ্যোগ নিয়েছেন। আম আদমি পার্টি, শিবসেনা, টিআরএস, তামিলনাড়ুর ডিএমকে, কমল হাসানের দল, এদিকে সপা, বসপা অনেকেই রয়েছে যারা আগামিদিনে একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে পারে। তাহলেই কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিকে কড়া টক্কর দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিজেপির জোটসঙ্গী অনেক দলই এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসবে বলে বিরোধীরা মনে করছে। এই অবস্থায় মমতা কীভাবে ফ্রন্ট গড়ে তোলেন সেটাই এখন দেখার।